মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, mamata banerjee, west bengal politics, by-election
ভবানীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উঠে এলো বিজেপির এই চার নেতার নাম | ছবিঃ ফেসবুক

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হল। আর সেই কারণেই ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে বইছে খুশির মেলা। ইতিমধ্যেই উপনির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাস ফুল শিবিরের পাশাপাশি কোমর বেধে নেমেছে গেরুয়া শিবির।

ভবানিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একরতি মাটি ছাড়তে চাইবে না বঙ্গ বিজেপি। সেই কারনেই উপনির্বাচনে ভবানিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির ৪ টি নেতার নাম উঠে এসেছে। গতকাল বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কথপোকথন হয় এবং সেখানেই বিজেপির ৪ নেতার নাম উঠে আসে। সুত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আজ রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে বসবেন তারা। উপনির্বাচনে কাকে প্রার্থী করবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিধান্ত নিয়ে একটি নামের লিস্ট পাঠানো হবে কেন্দ্র সরকারের কাছে।

জানা গেছে, ওই তালিকায় নাম থাকছে রুদ্রনীল ঘোষ, দীনেশ ত্রিবেদী, তথাগত রায় এবং অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়র দের। বর্তমানে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিজেপির এই ৪ নেতৃত্তের নাম উঠে এসেছে। জানিয়ে রাখি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এর কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনিল ঘোষ।

রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত করেন। তবে তার দল পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় লাভ করায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণ করেন। তবে তার সেই আসন বাঁচিয়ে রাখতে হলে ফলাফল ঘোষণার পর পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে যেকোনো আসন থেকে জয়ী করে আসতে হবে। আর সেই কারণেই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পরও শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য।

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই এবার তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগেই উপনির্বাচন ঘোষণা করায় খুশির জোয়ার বইছে তৃণমূল শিবিরে। তবে উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র ছাড়তে চায়না গেরুয়া শিবির। রীতিমতো বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্য রাজনীতির পারদ ফের উপরে উঠতে চলেছে।