পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেশরী নাথ ত্রিপাঠী এবং জগদীপ ধনকড়ের পর প্রকাশিত হল পশ্চিমবঙ্গের ভাবি রাজ্যপালের নাম। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এ রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে সিভি আনন্দ বোসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি একজন প্রাক্তন আমলা এবং বর্তমানে মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে পরিচিত।
এর আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর সাথে রাজ্যের কোনদিনই কুশল সম্পর্ক ছিল না। প্রায়ই চলত নানান বিবাদ। এর ফলে রাজ্য সরকার এবং রাজভবনের মাঝে বহুবার সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ভাবি রাজ্যপালের নাম প্রকাশের ঠিক পরেই এক সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের কার্য সংকল্প বিষয়ক মতামত প্রকাশ করেন সিভি আনন্দ বোস। ওই সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী মানুষদের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে কোনরকম আপোষ করতে রাজি নন তিনি। সংবিধানের সব রকম নিয়ম-নীতি মেনেই এ রাজ্যের মানুষের যাতে উন্নতি ঘটে সে কথা মাথায় রেখে কাজ করব।
এক বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যমের দ্বারা তিনি জানান, কলকাতা তার কাছে নতুন জায়গা নয়। চাকরি জীবনের প্রথম কর্মস্থল ছিল কলকাতা। অফিসার হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন কলকাতার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অফিসে। এছাড়াও পরবর্তীকালে শ্যামবাজারে ছিল কর্মস্থল।
ভাবি রাজ্যপালের পদবি দেখে অনেকেই আন্দাজ করতে শুরু করেছেন, অবশেষে বাংলার রাজ্যপাল তবে একজন বাঙালি। কিন্তু এই ধারণা যে পুরোটাই ভুল সেটি পরিষ্কার করলেন সিভি আনন্দ বোস। বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে এও জানান যে, তিনি আদতে বাঙালি নন। তার পিতার নাম পিকে বাসুদেবন পিল্লাই এবং মাতা পদ্মাবতী আম্মা।
তার পদবীর শেষে ‘বোস’ যুক্ত করার আসল রহস্য প্রকাশ করার সময় তিনি বলেন, তার পিতা একজন সেকালের স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এবং সুভাষচন্দ্র বোসকে অনুসরণ করতেন। সুভাষচন্দ্র বোসের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং গর্ববোধের জন্যই পিতা বাসুদেবন পিল্লাই তার নামের শেষে ‘বোস’ যোগ করে দিয়েছিলেন।
তবে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ করার অনুষ্ঠান সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।