পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মারন রোগ করোনা ভাইরাসের জেরে গোটা দেশজুড়ে চলছে মৃত্যু মিছিল। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। তবে এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে।
এক বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তার সৎ কার্য সম্পন্ন করার পর ১৮ দিন বাদে বাড়ি ফিরে এলেন ওই বৃদ্ধ মহিলা। এই ঘটনা দেখেই চক্ষুচড়কগাছ গ্রামবাসীর। জানা গিয়েছে, মুথ্যালা গিরিজাম্মা নামের ওই বৃদ্ধার বয়স প্রায় ৭০ বছর। ওই বৃদ্ধার শরীরে করোনার বেশ কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে পরিবারের তরফ থেকে তাঁকে অন্ধপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় গত ১২ ই মে।
আরও পড়ুনঃ গ্রাহক কেই ব্যাংকের ভিতরে ফেলে বেধড়ক মারধর, কারন জানতেই চক্ষু চড়কগাছ
সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এরপর ১৫ ই মে হাসপাতালে পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের কে জানানো হয় হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন ওই বৃদ্ধা । তার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ফের জানানো হয় বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। এরপর কোভিড বিধি মেনেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে করোনায় মৃত ঐ বৃদ্ধার দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নিয়ম মেনে পরিবারের সদস্যরা ঐ বৃদ্ধার সৎকার করেন এবং তার শ্রাদ্ধশান্তিও করেন। সমস্ত কাজ মিটে যাওয়ার দিন কয়েক বাদে এই ঘরে ফিরলেন ওই বৃদ্ধা। এমন দৃশ্য দেখে চক্ষুচড়কগাছ পরিবারের সদস্যদের সহ গ্রামবাসীর। এরপর পরিবারের সদস্যদেরকে ওই বৃদ্ধা অভিমান করে বলেন, কেন তাকে হাসপাতাল থেকে আনতে যাওয়া হয়নি ?
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ ২৫ বছর পর ভেঙে গেল সৌরভ গাঙ্গুলীর (Sourav Ganguly) লর্ডসে গড়া রেকর্ড
পরিবার সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, বৃদ্ধা মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর তারা হাসপাতলে মৃতদেহ আনতে গিয়েছিলেন। তবে হাসপাতাল থেকে করোনা বিধি মেনে প্লাস্টিকে মুড়ে দিয়েছিল দেহটি এবং করোনা বিধি মেনে পরিবারের পক্ষ থেকেও মৃত দেহটি তাদের কিনা যাচাই করে নেন নি। তবে সেই মৃতদেহ তারা সৎকার করেছেন নিয়ম মেনে। তবে ওই বৃদ্ধা মারা যাওয়ার দিন দুয়েকের মধ্যেই ঐ বৃদ্ধা ছেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ছেলে এবং মায়ের দুজনেরই সৎকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
ওই বৃদ্ধ মহিলা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার সঙ্গে প্রতিনিয়ত দেখা করতে পরিবারের সদস্যরা যেতেন। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা তাকে দেখতে যাচ্ছিলেন না। এমনকি তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পরও তাকে আনতে যাওয়া হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে তাকে ৩০০০ টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়েই তিনি বাড়ি ফিরছেন। তবে আসলে ওই মৃত দেহটি কার ছিল তা এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন বড় ভুল কিভাবে হল সেদিকেও উঠছে প্রশ্ন? এই ঘটনার তদন্ত শুরু হবে বলে জানিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে পুলিশ।