পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এবং ঘূর্ণাবর্তের কারণে আবহাওয়া কিছুদিন অন্তর অন্তর পরিবর্তিত হয়ে চলেছে। বুধবারের পর থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কবলে পড়ে সপ্তাহান্তে ফের বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। দেখে নিন কেমন থাকবে আজকের (২৮শে মার্চ ২০২৩) আবহাওয়া –
আজকের আবহাওয়া
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাঃ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাঃ ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসের গতিবেগঃ ৩.৬ কিমি প্রতি ঘন্টা
বৃষ্টির সম্ভাবনাঃ বিক্ষিপ্ত
দিনের সর্বোচ্চ জলীয়বাষ্পের পরিমাণঃ ৭৭ শতাংশ
দিনের সর্বনিম্ন জলীয়বাষ্পের পরিমাণঃ ৪৫ শতাংশ
সূর্যোদয়ঃ ৫টা ৩৪মিনিট
সূর্যাস্তঃ ৫টা ৫১মিনিট
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এই সপ্তাহ জুড়ে ঝড়বৃষ্টির প্রকোপ লেগে থাকবে। আজ উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সাথে সাথে শিলাবৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও দমকা ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। আগামীকাল উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
সেরূপ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলি বাদ দিয়ে বাকি জেলাগুলি বৃষ্টিহীন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে আবারও বৃষ্টি ফিরবে উত্তরবঙ্গে। আপাতত উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন আসবে না। উত্তরবঙ্গের আজকের তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আজ পুরো দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই ঝড় বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে প্রায় সব জেলাতেই আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সাথে সাথে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হওয়া বইতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল এবং পরশুও কলকাতা ও তার আশেপাশের জেলাগুলিতে এই ঝড়বৃষ্টির দাপট বহাল থাকবে।
শুক্রবার আবহাওয়ার পরিস্থিতি সামান্য পরিবর্তিত হলেও শনিবার আবার বৃষ্টি ফিরতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। আপাতত আগামী ৪-৫ দিন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রায় বিশেষ কোনো পরিবর্তন আসবে না। মোটের উপর দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বর্তমানে ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
আগামীকালের আবহাওয়া
কলকাতা ও তার আশেপাশের জেলাগুলিতে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুত্ সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পেলেও বাতাসে জলীয়বাষ্প থাকায় কারণে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিতে ভুগবে মানুষ। কোথাও কোথাও কালবৈশাখীর প্রকোপ দেখা যেতে পারে।