পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের। তবে তার মধ্যে অনেক শিশুদেরকে অনাথ করে দিয়েছে এই মারন রোগ। করোনা আক্রান্ত হয়ে মা ও বাবা বা গুরুজন হারানো অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইতিমধ্যেই অনাথ শিশুদের সাহায্যের জন্য রাজ্য সরকার গুলিকে পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শিশুদেরকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, “করোনা আক্রান্ত হয়ে অভিভাবক (আইনি অভিভাবক বা পালিত অভিভাবক) এর মৃত্যু হলে ওই অনাথ শিশুদের কে পিএম কেয়ার ফর চিল্ড্রেন স্কিম থেকে সহযোগিতা করা হবে।”
গতকাল শনিবার শিশুদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই একগুচ্ছ সরকারি সাহায্যের ঘোষণা করেন মোদী। তবে শুধু অভিভাবকরাই নয়, পরিবারের উপার্জনকারী যদি কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সেই ক্ষেত্রে ইম্প্লাইড ইনসিউরেন্স কর্পোরেশন এর অধীনে তারা এর ৯০ শতাংশ পেনশিয়ান হিসেবে তার পরিবারকে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৪ শে মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৪ শে মার্চ মাসের মধ্যে যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। শুধু তাদের জন্যই এই নিয়ম প্রযোজ্য।
তবে অনাথ শিশুদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর এর পক্ষ থেকে। জানানো হয়েছে, ১০ বছরের নিচে অনাথ শিশুদেরকে তার নিকটবর্তী সরকারি স্কুল বা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করানো হবে। বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে স্কুলের ফী দেওয়া হবে পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে এবং স্কুল ইউনিফর্ম থেকে, বই-খাতা সমস্তকিছুর খরচ বহন করবে কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুনঃ পাঁচ রাজ্যে CAA চালু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তবে পশ্চিমবঙ্গের কি হবে ?
১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে অনাথ শিশুদেরকে তাদের মতামত অনুযায়ী পড়াশোনা করানোর পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র সরকার। এমনকি সৈনিক স্কুল বা নবোদয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সুযোগ রয়েছে অনাথ শিশুদের ক্ষেত্রে। এছাড়াও তারা যদি পরিবারের কারও কাছে থেকে কোনো সরকারি বা বেসরকারি স্কুলের পড়তে চায় সেক্ষেত্রেও দায়-ভার নেবে কেন্দ্র।
প্রতিটি অনাথ শিশুর জন্য ১০ লক্ষ টাকার একটি তহবিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ওই তহবিল থেকে ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। ওই ভাতা থেকে নিজের ব্যক্তিগত খরচ কিংবা পড়াশোনার জন্য খরচ করতে পারবে। অনাথ শিশুদের ২৩ বছর পূর্ণ হলেই এককালীন ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে। যা দিয়ে তিনি কোন একটি ব্যবসা বা ব্যক্তিগত কোনও কাজে লাগাতে পারবেন।