পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ আজ কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক হল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্র সচিব শ্রী এইচ কে দ্বিবেদী ছাড়াও রাজ্যের ৯ টি জেলার জেলাশাসকরা।
আজ বৃহস্পতিবার করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট দশটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। তবে পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করার পর এই প্রথম বার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভার্চুয়াল ভাবে বৈঠক হলেও, এই বৈঠক সুমধুর হলো না।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা এই বৈঠকে বরঞ্চ কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়লো। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে একটিও কথা বলতে পারেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে কথা বলারই সুযোগ দেওয়া হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “কথা যখন বলতেই দেবেন না, তাহলে এভাবে আমন্ত্রণ করে অপমানিত করার কি দরকার ছিল।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খুব খারাপ লেগেছে কোন কথাই বলতে দেন নি। সৌজন্য বিনিময়ও করেন নি। তাহলে কেন মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকলেন ? ডেকে এভাবে অপমান কেন করলেন?” মমতা আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক ‘সুপারফ্লপ, ক্যাজুয়াল’।

বৈঠক শেষে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”আজ ভেবেছিলাম, ভ্যাকসিন চাইব। কিন্তু বলারই সুযোগ পাইনি। উনি কিছু জানতে চাননি। রাজ্যে কীভাবে কোভিড মোকাবিলা হচ্ছে, ওষুধের কী খবর, কিছুই জানতে চাননি। উনি নিজের মতো কিছু বলে মুখ লুকিয়ে চলে গিয়েছেন। আমরা, মুখ্যমন্ত্রীরা অপমানিত বোধ করেছি। পুতুলের মতো বসেছিলাম।” এছাড়া তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ঔদ্ধত্য দেখা গেল বৈঠকে। আমি চাই, সব মুখ্যমন্ত্রীরা আমার মতো প্রতিবাদ করুক।”