পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গোটা দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াভয়ক হয়ে উঠেছে। হুহু করে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব দেখা দিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বঙ্গে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখি।
তবে এই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আবারও সংঘাত সৃষ্টি হতে চলেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানিয়ে সরাসরি জেলাশাসকদের-কে নিয়েই বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কে প্রাধান্য না দেওয়ায় আপত্তি জানালো রাজ্য সরকার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২০ ই মে সকাল ১১ টা নাগাদ কোভিড পরিস্থিতি বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। ৯ টি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে হবে এই বৈঠক।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন অক্সিজেন, অথচ নিজেই পাঁচ বছর ধরে অক্সিজেন সাপোর্টে
তবে ওই বৈঠকে মজুদ ৯ টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যও। ৯ টি রাজ্যের সঙ্গে, বঙ্গের ৯ টি জেলার প্রশাসনিক প্রধান অর্থাৎ জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া এবং কলকাতার জেলাশাসক এবং রাজ্যের শিষ্য আধিকারিকদেরকে ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে ।
তবে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতির বিষয়ে কোন কিছু জানানো হয়নি। যার জেরে তীব্র আপত্তি জানাল রাজ্য সরকার। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে প্রাধান্য না দিয়ে এ ধরনের বৈঠক ডাকা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর প্রতিবন্ধকস্বরূপ বলে প্রশ্ন তৃণমূল শিবিরের।
আরও পড়ুনঃ আবহাওয়া: ৮০ কিলোমিটার বেগে উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউকটে
তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিড ভ্যাকসিন চেয়ে বেশ কয়েকটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সেই চিঠির উত্তর এখনও পর্যন্ত পাইনি রাজ্য। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রকার চিঠি পাঠায়নি কেন্দ্র। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে আমন্ত্রণ না জানিয়ে সরাসরি জেলাশাসকদেরকে নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা এই বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে কেউ উপস্থিত থাকবে কিনা সেটা ঠিক করবে নবান্ন।