নির্বাচন কমিশন, বিধানসভা ভোট, কেন্দ্রীয় বাহিনী, আইএসএফ, সিআরপিএফ
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ সকাল থেকেই চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনী ভোটগ্রহণ। ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ পর্বেও এড়ানো গেল না সংঘর্ষ। চলল বোমাবাজি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি। এবার ষষ্ঠ দফার ভোটে উত্তপ্ত অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্র।

জানা গিয়েছে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া ভাবে বুথ চত্বরে বোমাবাজি করে। এমনকি ভোট কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর ওঠেছে তৃণমূলের দিকেই। তবে ঘাসফুল শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে দুই তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছে।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবে চলছিল ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ পর্ব। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বুথ নম্বর ৭৯, ৭৯/এ, ৮০, ৮০/এ এই চারটি বুথে চলছিল ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ পর্ব। অশোকনগরে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তনুজা চক্রবর্তী। তিনি বেলা এগারোটা নাগাদ অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বুথগুলি পরিদর্শনে আসেন।

বিজেপি প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এমন ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি সমর্থকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। শুরু হয় বোমাবাজি । এই ঘটনায় ভোট কর্মীদের একটি বাস ভেঙেচুরে একাকার করে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের গাড়ি উদ্দেশ্য করে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে কেন্দ্র বাহিনীর একটি বিরাট অংশ ওই বুথে পৌঁছায়।

এই ঘটনায় ঘাসফুল শিবির অভিযোগ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা গ্রামের মধ্যে ঢুকে গুলি চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলির আঘাতে জখম হয়েছে দুই তৃণমূল কর্মী। অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নারায়ন গোস্বামীও একই দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “সন্ত্রাস করে তৃণমূল ভোটে জিততে চাইছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে দুই তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যে” বলে দাবি বিজেপি প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন এই ঘটনার ব্যাপারে জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনরকম গুলি চালায় নি।