পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রাত যতই গভীর হচ্ছে ততই শোনা যাচ্ছে নুপুরের শব্দ। মনে হচ্ছে কেউ যেন পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছে। আবার কখনো বা আচমকাই আয়নার উপর সিঁদুর উড়ে এসে পড়ছে। এটা কি কোন ভূতের গল্প ? না এটা কোন ভূতের গল্প নয়। এমন ঘটনাই ঘটে চলেছে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান বানিচাঁদ আগরওয়াল কোস্তুরী গান্ধী গার্লস হোস্টেলে।
ভৌতিক কাণ্ডে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে ওই হোস্টেলের ছাত্রীদের। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান বানিচাঁদ আগরওয়াল কোস্তুরী গান্ধী গার্লস হোস্টেলে প্রায় ১০০ জন ছাত্রী থাকে এবং তারা সবাই ধুলিয়ান বাণী চাঁদ আগরওয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মহামারী করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন এর কারণে প্রায় দু’বছর ওই হোস্টেল পুরো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তবে বর্তমানে মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসায় সব কিছুই ধীরে ধীরে আনলকের পথে। সেই কারণেই মাসখানেক হলো ওই হোস্টেলের দ্বারও খোলা হয়েছে।
সমস্ত পড়ুয়ারাই ওই হোস্টেলে এসে উপস্থিত হয়েছে। প্রথম দিকে কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়নি ওই পড়ুয়ারা। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে থেকেই ভৌতিক কাণ্ডের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে হোস্টেলের আবাসিকরা। তারা জানিয়েছে, যতক্ষণ সূর্য দেখা যায় ততক্ষণ পর্যন্ত কোন রকম সমস্যা হয় না। কিন্তু সূর্য ডুবতেই কোথা থেকে যেন ভেসে আসে নুপুরের শব্দ। হঠাৎই আয়নার উপরে উড়ে এসে পড়ে সিঁদুর। আবার কখনো কখনো মনে হয় পাশে কেউ দাঁড়িয়ে রয়েছে। অনুভব করা গেলেও চোখে দেখা যায় না বলে দাবি জানিয়েছেন ওই হোস্টেলের আবাসিকরা।
গোটা বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে জানানো হয়। তারপর মঙ্গলবার ওই হোস্টেলে ধর্মগুরু ডেকে যজ্ঞও করা হয়। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান বানিচাঁদ আগরওয়াল কোস্তুরী গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, “কিছুদিন ধরে ছাত্রীরা ভয় পাচ্ছিল। সেই কারণে ধর্মগুরুরা এসেছিলেন। যজ্ঞ করা হয়েছে।”