পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ শীতলকুচি কাণ্ডের জের পড়ল বাকি দফা ভোটে। শীতলকুচি কাণ্ডে সেনাবাহিনীর গুলি বর্ষণে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। সেদিনের ভোট পর্ব ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিধানসভা ভোট। বাতিল হয়ে গেছিল সেদিনের ১২৬ নম্বর বুথের ভোট গ্রহণ পর্ব।
সেদিনের চতুর্থ দফা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত এবং আহতদের নিয়ে একেবারে তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য এবং রাজনীতি। তার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের তৎপরতার ওপর আঙুল উঠতে থাকে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট নিয়ে এমনিতেই শাসক দল এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে, এমত অবস্থায় চতুর্থ দফা ভোটে শীতলকুচি নিয়ে একেবারে রাজনৈতিক তর্জা চরমে ওঠে। এই রকম ঘটনা যাতে আর বাকি ভোটে না ঘটে এবং কোনও রকম কোনও অশান্তি যাতে না হয় সেই দিকে নজর দিয়ে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী নির্বাচনী বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত হলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও প্রকার গুলি চালাতে পারবে না। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গুলির বদলে সিআরপিএস এর ১৫১ বা ১৮৮ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে উক্ত ব্যক্তিকে।
নির্বাচন কমিশনের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের সঙ্গে এই মর্মে বৈঠকে বসেন রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ অন্যান্য বিভিন্ন আধিকারিকরা। শীতলকুচি কাণ্ডে সামনে আসা ভিডিও এর জেরে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।
এর সাথে সাথে করোনা বিধির ওপর নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুথে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। সকলের জন্য মাস্ক বাধ্যতা মূলক বলে জানিয়েছে কমিশন। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল কোনও প্রকার মন্তব্য করেন নি।