পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ যে হারে বেড়ে চলেছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে লকডাউন একমাত্র ভরসা বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন জারি করা হবে বলেই ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর।
মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত যে হারে বেড়ে চলেছে তা ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছে। করোনা সংক্রমনের সংখ্যা প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বমুখী। যা নাগালের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। গত রবিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে প্রশাসনের শীর্ষ অধিকারীদের কে নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন। গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স এবং তার মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ওই বৈঠকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছিলেন, ১৪ দিনের পূর্ণ লকডাউন থাকা উচিৎ বলে।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আসলাম শেখ জানিয়েছিলেন, কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্স বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন সদস্য তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। কয়েকজন সদস্য জানিয়েছিলেন তিন সপ্তাহের লকডাউন জারি করা উচিত এবং কয়েকজন সদস্য দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করা উচিত বলে জানিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত সদস্যরা তিন সপ্তাহের লকডাউন হওয়ার কথা নিয়ে আবারো ১২ ই এপ্রিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন আসলাম শেখ।
উদ্ভব ঠাকরে টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘অক্সিজেন এবং শয্যাগুলির সহজলভ্যতা, রেমডেসিভিয়ারের ব্যবহার, চিকিৎসা প্রোটোকল, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য টাস্ক ফোর্সে আলোচনা হয়েছে। কোভিড প্রোটোকল লঙ্ঘনের জন্য জরিমানার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
ওই বৈঠকে উপস্থিত বিশেষজ্ঞদের মতে, যে হারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে লকডাউন একমাত্র ভরসা। ইতিমধ্যে সে রাজ্যে করোনার কঠোর বিধি জারি হয়েছে। ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত, নাইট কার্ফুজারি ও নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি সহ বেশকিছু বিধি নিষেধ চালু করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
মহারাষ্ট্র গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ২৯৪ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জন মানুষের। করোনা সংক্রমনের দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দেশজুড়ে মোট করোনা সংক্রমিত সংখ্যার মধ্যে ৪৮.৫৭ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে মহারাষ্ট্রে।