পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপূজা। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন, তার পরেই শুরু হবে দুর্গোৎসব। তবে করোনা আবহাওয়া-এর মধ্য দিয়ে কিভাবে বঙ্গে দুর্গোৎসব পালিত হবে ? এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে একটি বৈঠক হয়েছে “ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।” মহামারী করোনা ভাইরাস-এর কথা বিবেচনা করেই হয়েছে এই বৈঠক।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু। বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের মতো এ বছরও কোভিড বিধি মেনেই হবে দুর্গোৎসব। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে নবান্ন, এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। তার পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু দুর্গোৎসব বাঙালির সেরা উৎসব সেই কারণে কোভিড বিধি মেনে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। প্রতিটি প্যান্ডেলের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শাশ্বত বসু।
তবে এর পাশাপাশি পুজো কমিটির জন্য বড় ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার, গত বছরের মতো এ বছরও প্রতিটি পুজো কমিটিকে দেওয়া হবে ৫০,০০০ হাজার টাকা। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত লাইসেন্স এবং বিদ্যুৎ বিল সহ অন্যান্য খরচ সম্পূর্ণ মুকুব করে দেওয়া হবে।
দুর্গো উৎসবকে কেন্দ্র করেই দুর্গাপূজার গাইডলাইন নিয়ে একটি বৈঠক হয় গতকাল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অন্যান্য ভিআইপিরা। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় ৩৬ হাজার বড় পুজো হয়। এদের মধ্যেই শুধু মাত্র কলকাতাতেই রেজিস্টার ক্লাব রয়েছে ২৫০০। মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে ৫০,০০০ টাকা করে সহযোগিতা করা হবে এর পাশাপাশি দেওয়া হবে অন্যান্য সুবিধা।
দুর্গোৎসব কে কেন্দ্র করে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্গাপূজাকে বিশ্বের এক নম্বর ফেস্টিভেল বলে মনে করি। কুইন্স ইউনিভার্সিটি এবং আইআইটি খড়গপুর সার্ভে করেছিল, গড়ে ৩২ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা খরচ হয় দুর্গাপূজায়।”