পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রাজধানী দিল্লি থেকে ১০ টি আসনের একটি বিমান ভাড়া করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর অনুযায়ী, এই বিমানটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য ভিআইপি নেতা নেত্রীদের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। বর্তমানে বিমানটি এখনো রাজ্যে এসে পৌঁছায়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী তিন দিনের মধ্যে বিমানটি রাজ্যে এসে পৌঁছাবে।
রাজ্য সরকারের ভাড়া করা ওই বিমানটি ফ্রান্সের জেসল্ট সংস্থার তৈরি বিমান। দুটি ইঞ্জিনের ফ্যালকন ২০০০ বিমানের জন্য প্রতি মাসে রাজ্য সরকারকে ভাড়া দিতে হবে ২ কোটি টাকা। দিল্লির একটি সংস্থার কাছ থেকে এই বিমানটি ভাড়া নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে ভাড়া নেওয়া সেই চুক্তি পত্রে বলা হয়েছে, প্রতিমাসে ৪৫ ঘন্টা ওড়ার টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এছাড়াও প্রতি ঘন্টায় ৫ লক্ষ টাকা করে খরচ হবে ভাড়া বাবদ।
অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪৫ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারবে এই বিমানটি। ৪৫ ঘণ্টার কম যদি বিমানটি ওড়ায় রাজ্য সরকার। তবুও ৪৫ ঘণ্টার টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে ৪৫ ঘণ্টার বেশি যদি বিমানটি ওড়ানো হয় তাহলে প্রতি ঘন্টায় আরও ৫ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আগামী তিন বছরের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছে এই বিমানটি।

ওই বিমানটি ওড়ানোর জন্য ও দেখাশোনা করার জন্য দিল্লি থেকে আসছেন দুইজন পাইলট ও একজন ইঞ্জিনিয়ার ও একজন বিমান সেবক/সেবিকা। আগামী তিন বছরে তারা শহর কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে থাকবেন। তবে তাদের সম্পূর্ণ খরচ চালাবে রাজ্য সরকার। জানিয়ে রাখি, চুক্তির টাকার মধ্যেই সেই খরচের টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই বিমানে করে সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই উত্তরবঙ্গে পাড়ি দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতায় প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার কারণে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী নেতা ও নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে তার।
কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্ত স্থানে সরাসরি উড়ানের ব্যবস্থা নেই বলেই জানাচ্ছে নবান্ন। যার কারণেই দিল্লি থেকে এই বিমানটি ভাড়া করা হয়েছে। এই বিমানটির সাহায্যে যেকোনো স্থানে পাড়ি দিতে রাজ্য সরকারের সুবিধা হবে বলে জানাচ্ছে নবান্ন।