পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার নীল বাড়ি দখল না করতে পেরে, বিজেপি শিবির এবার পাখির চোখ করেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
এদিকে রাজ্যের শাসক দল তৎপর হয়ে উঠেছে উপনির্বাচন ও পৌর নির্বাচন করাতে। কিন্তু সেখানেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকঢোল বাজিয়ে উঠলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আমি নিজে বৈঠক করছি। পঞ্চায়েত স্তরে সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে দলের তরফে কথা বলা হচ্ছে।”
বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখল করতে না পারলেও এবার বাংলার পঞ্চায়েত দখল করতে তৎপর বিজেপি শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়নি বলেও দাবি দিলিপের। এদিন তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বাংলায় কোন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়নি। আমরা প্রস্তুত থাকবো।”

এদিন মেদিনীপুরে ঘটে যাওয়া গুলি কাণ্ড-কে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করেন দিলীপ ঘোষ। পুলিশ প্রশাসনকে নিশানায় নিয়ে এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। রাজ্যজুড়ে গোলাগুলি চলছে। রাজ্যে বন্দুকের কারখানা চলছে। এটাই এখন রাজ্যের শিল্প। নির্বাচনের পরে রাজ্যজুড়ে সমাজবিরোধীদের উৎপাত প্রকাশ্যে হচ্ছে। আফগানিস্তানের মত অবস্থা হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ কী করছে?”
পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলকেও নিশানায় নিয়ে দিলীপ বাবু বলেন, “নির্বাচন আসছে তাই মানুষকে ভয় পাওয়ানোর জন্য এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। মেদিনীপুরের মতো শান্ত জায়গা-কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সন্ত্রাস হচ্ছে রাজ্যে।”
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও সরব হন। তিনি এদিন রাজ্যের শাসকদলের উপর তোপ দেগে বলেন, “তৃণমূল রাজনৈতিক লড়াই লড়ছে কোথায়? পুলিশ আর গুণ্ডাকে লাগিয়ে বিজেপি-কে মারছে। পুলিশকে নিজেদের ক্যাডার বানিয়ে নিয়েছে। পুলিশকে নিজের মতো কাজ করতে ছেড়ে দেওয়া হোক। আমরা গুণ্ডাদের বুঝে নেব। রাজনৈতিক লড়াই লড়ুক তৃণমূল।”

গত কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন তৃণমূলের অনেক নেতা নেত্রীরা। সে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দীলিপবাবু বলেন, ত্রিপুরায় গিয়ে ‘তৃণমূল ড্রামা করছে’। তিনি এদিন বলেন, “লোকসভা ভোটের আগে দিদি সব মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একজোট হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এখন আর সেই সব মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে নেই। কয়েকদিন আগে দিদি দিল্লি গিয়েছিলেন। সনিয়াজির সঙ্গে বসে চা খেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ আসেননি। এখন ত্রিপুরায় নাচানাচি করছে। যেভাবে সিবিআই লেগেছে, নেতাদের আগে বাঁচিয়ে নিক।”