পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। একপ্রকার বলা যায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে কাতিয়ে উঠতে সফল হয়েছে ভারত সরকার। তবে এবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
মহামারী করোনা ভাইরাস এর রাশ টানতে রীতিমত হাঁপিয়ে উঠেছে ভারত। দৈনিক সংক্রমনের জেরে ভেঙে পড়েছিল দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। তবে বর্তমানে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে ভারত। দৈনিক সংক্রমণ রীতিমতো নিম্নগামী যাত্রা শুরু করেছে। বর্তমানে সংক্রমনের চেয়ে সুস্থতার হার বেশি। করোনা সংক্রমণ এর জেরে মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে আগের তুলনায়।
তবে করোনার তৃতীয় ঢেউ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত সরকার করোনা ভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সক্ষম হয়েছে লকডাউন এর ফলে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই ভারতে হানা দিতে চলেছে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ। যা ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দেখা গিয়েছে। যার জেরে বিভিন্ন স্থানে লকডাউনও জারি করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা ভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ এর তুলনায় তৃতীয় ঢেউ আরও বেশি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। করোনা ভাইরাস এর এই নতুন প্রজাতিকে ঘিরে নীতি আয়োগ এর এক সদস্য জানিয়েছেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে আমরা খুব ভালোভাবে মোকাবেলা করলেও, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে করোনা ভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ভারতে। তবে তার আগে ভ্যাক্সিনেশন বাধ্যতামূলক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন প্রয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।”
এ ছাড়া অন্য একজন সদস্য জানিয়েছেন, “করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে সঠিক সময়ে লকডাউন এর জেরে সংক্রমণ অনেকটাই আটকানো সম্ভব হয়েছে। তবে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে মানুষের ভুলের জন্য তার মাশুল দিতে হয়েছে আমাদের। তাই সেই ভুল আর দ্বিতীয়বার করতে চাইনা। আমরা সকলেই যদি কোভিড বিধি গুলি মেনে চলি তাহলে করোনা ভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ এর প্রভাব কিছুটা হলেও কম পড়বে ভারতে।”