পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- রাজ্যের উপনির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে রাজনীতি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি যেমন এখনই উপনির্বাচন চায়না, ঠিক তেমনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য উপনির্বাচন এর দ্রুত সম্পন্ন হওয়াটা জরুরি।
পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে গেলে আগামী ৫ ই নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের যেকোনো একটি উপনির্বাচন কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে আসতে হবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল উপনির্বাচন না করার ছক কষছে।
তবে বিজেপির দাবি এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে কোনরকম নির্বাচন করা সাধারণ মানুষের জন্য সঠিক পদক্ষেপ হবে না। এছাড়া রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ, সীমিত বাস চলছে, তার ওপরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং রাজ্যের শাসক দল পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় রয়েছে সুতরাং এখনও উপনির্বাচন না হলেও চলবে বলে দাবি বিজেপির।
তবে রাজ্যে উপনির্বাচন করতে মরিয়া শাসক দল। তাদের দাবি রাজ্যে কোভিড নীতি মেনেই হবে নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল আজই দেশের রাজধানী দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে রাজ্যের উপনির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য।
এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তরফে উপনির্বাচন নিয়ে কোনোরকম পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের যে ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা, ওই কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন করার আবেদন জানাবে নির্বাচন কমিশন এর কাছে। আরও জানা যাচ্ছে যে, আজই এই কেন্দ্রগুলির করোনা পরিস্থিতি রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ- গত ১৫৬ দিনে দেশে সবথেকে কম ‘অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের’ সংখ্যা, তবে ডেল্টার ভয় থাকছেই