farmer protest, কৃষক আন্দোলন
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লির লালকেল্লায় কৃষক আন্দোলন ঘিরে অসন্তোষ এবং হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াল দুই কৃষক সংগঠন। ঐদিন ব্যারিকেড ভেঙে হাজার হাজার কৃষক ঢুকে পড়ে লালকেল্লার ভেতরে এবং সেখানে সংগঠনের পতাকা উড়াতে দেখা যায় তাদের। এই ঘটনাটি পরবর্তী সময় হিংসাত্মক এবং বিশৃংখলার রূপ নেয়। এর ফলে পুলিশের সাথে হাতাহাতিতে প্রাণ হারায় এক বিক্ষোভকারী এবং জখম হন প্রায় ১০০ জন পুলিশ কর্মী।

রাষ্ট্রীয় কিষান মজদুর সংগঠন  ও ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (ভানু) জানান, আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে বিশৃংখলার সৃষ্টি করে আন্দোলন করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না তাদের। অহিংসার সাথে আন্দোলনের রূপ এখন বিপরীতমুখি, কাজেই এই আন্দোলনকে আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার দিল্লিতে ব্যাপক হিংসার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়। বিক্ষোভকারীরা জোর করে ঢুকে পরে লাল কেল্লার ভিতরে। তারপরে পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। তাদের হাতে লাঠি এবং পতাকা ছিল। ঐদিন লালকেল্লার মাথায় ‘নিশান সাহিব’ নামে একটি ধর্মীয় পতাকা ওড়াতে দেখা যায় কৃষকদের। বিক্ষোভ লাগামছাড়া হলে পুলিশ সেখানে হাজির হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা পাল্টা পুলিশকে তাড়া করে। তারমধ্যে ট্রাক্টর চালিয়ে ২ কৃষক পুলিশকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

কৃষক সংগঠনগুলিকে আলোচনার পর ট্রাক্টর র‍্যালির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পথ নির্দেশিকা সহ। কিন্তু তারা নির্দেশিত পথে না গিয়ে অন্য পথ অনুসরণ করে এবং বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর জন্য পুলিশ সম্পূর্ণ দায় দিয়েছেন কৃষকদের উপর।

এরপর রাষ্ট্রীয় কিষান মজদুর সংগঠনের নেতা ভি.এম.সিং-এর মন্তব্য, মুষ্টিমেয় মানুষের উদ্দেশ্য অন্যকিছু। ন্যায়-এর সাথে চলা আন্দোলন আর হচ্ছে না। অসৎ-পথ অনুসরণ করছে কিছু মানুষ। তিনি আরো বলেন, ‘কৃষি-আইনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে। যতদিন না চাষীদের ন্যায্য দাবি মানা হবে, ততদিন আন্দোলন চলবে। তবে এইভাবে হিংসার পথে নয়। আমরা হিংসা দেখাতে আসিনি, শহীদ হতেও আসিনি।’

ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা ঠাকুর ভানু প্রতাপ সিং বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত। কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তাই আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াতে চাই।’ রাজধানীতে এই ঘটনায় উস্কানি দেওয়া এবং সেখানে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২৫ টি মামলা দায় করেছে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগে যুক্ত থাকা ২০০ জনকে আটক এবং ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লালকেল্লায় অন্য পতাকা লাগিয়ে যে দেশীয় অবমাননার সৃষ্টি হয়েছিল তা বরদাস্ত করবে না কেন্দ্রীয় সরকার।