পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল সমস্ত কিছু। বিধ্বংসী বন্যায় তছনছ হয়ে গেছে গোটা জার্মানি সহ বেলজিয়ামও। বর্তমানে বিধংসী বন্যায় বিপর্যস্ত গোটা ইউরোপ। এমন বিধংসী বন্যা সেখানকার মানুষ আগে কখনো দেখেনি।
বন্যার জেরে প্রায় ১৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ। প্রকৃতি তার আসল রূপ দেখিয়েছে গোটা জার্মানিতে। বিধ্বংসী বন্যার জেরে তছনছ হয়ে গেছে সেখানকার রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি, দোকানপাট সহ সবকিছুই। জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে গোটা জার্মানি।
মহামারী করোনা ভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ তার ভয়ঙ্কর রুপ দেখাতে শুরু করেছে। করোনার পাশাপাশি সঙ্গী হয়েছে বিধ্বংসী বন্যা। ইতিমধ্যেই সেখানকার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বর্তমান পরিস্থিতির ছবি তুলে ধরেছে। ছবিগুলি দেখে বোঝা যাচ্ছে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জার্মানি ও বেলজিয়ামে। জলের স্তর এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে রাস্তাঘাট নদীতে পরিণত হয়েছে।
প্রবল জলের গতিতে স্রোতে ঘরবাড়ি সহ একাধিক জিনিসপত্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। প্রকৃতির অতি ভয়ঙ্কর রূপ দেখে জার্মানির এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “১৫ মিনিটের মধ্যে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল সেই জলের স্রোত। ঘরবাড়ি, ফ্লাট, দোকান-পাট এবং গোটাগ্রাম জলে ডুবে গিয়েছে।”
এছাড়াও সেখানে বসবাসকারী ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ জানিয়েছেন, “জলের স্রোতে গাছ উপড়ে পড়ে রয়েছে রাস্তায়। একাধিক বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে জলের স্রোতে। গত কুড়ি বছরের মধ্যে এমন বিধ্বংসী বন্যা আমি দেখিনি”।
জার্মানি ও বেলজিয়াম প্রশাসনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বিধ্বংসী বন্যার জেরে এখনো পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বন্যার জেরে বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রায় ২১ হাজার মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছানোর জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে সেনা মোতায়েন করে উদ্ধার কার্য চালানো হচ্ছে।