cyclone, super cyclone Tauktae, ঘূর্ণিঝড়, তাউকটে
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গতকাল রাত ৯ টা থেকে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়েছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় তাউকটে। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যজুড়ে চালাচ্ছে ধ্বংসলীলা। এই ঘূর্ণিঝড় দাপট দেখাচ্ছে গুজরাট সহ মহারাষ্ট্রেও।

ঘূর্ণিঝড় তাউকটের প্রভাবে গোয়া, কর্ণাটক ও কেরল-এ ঝড়-বৃষ্টি সহ ভারী বৃষ্টি দেখা দিয়েছে কয়েকদিন ধরেই।  তবে এই বিধংসী ঘূর্ণিঝড় তার আসল রূপ নিয়ে অবতরণ করেছে গুজরাটে গতকাল রাতেই। ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার গতিবেগে নিয়ে আছড়ে পড়েছে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়।

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে বড় ঘূর্ণিঝড় হল এই তাউকটে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বিভিন্ন স্থান থেকে মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। এখনও পর্যন্ত খবর পাওয়া গিয়েছে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের এবং কেরালে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। অন্যদিকে কর্নাটকে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউকটে তার বিধ্বংসী রুপ নিয়ে গুজরাটে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। সেই জন্য আগে থেকেই প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে গুজরাট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। তারপরও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের এবং আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ৩০০০-র বেশি মানুষ নিখোঁজ গুজরাটে।

ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলেছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। রাস্তার বিদ্যুতের পোস্টার সহ গাছপালা ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও কর্নাটকে সাতটি জেলায় প্রায় একুশটা গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে কেরালায় প্রায় দেড় হাজার বাড়ি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নৌ বাহিনী, তাউকটে, মুম্বাই
চিত্র- সংগৃহীত

এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কে কেন্দ্র করে গতকাল গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী দের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মধ্য দিয়েও যাতে কোভিড হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা জারি থাকে সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুজরাটের কোভিড হাসপাতাল গুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ যাতে না ব্যাহত হয় সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়াও ১০০-র বেশি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে গুজরাটে।

নৌ বাহিনী, তাউকটে, মুম্বাই
চিত্র- সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় তাউকটের দাপটে মুম্বাই উপকূলের কাছে ‘পি-৩০৫’ নামের একটি বার্জ ডুবে যায়, তাতে ২৩৭ জন যাত্রী ও ক্রু মেম্বার ছিলেন। নৌ বাহিনী ওই ডুবে যাওয়া বার্জ-এর ২৩৭ জন যাত্রীর মধ্যে ১৪৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ওই বোর্ডের ১৩৭ জন যাত্রী নিখোঁজ। এছাড়াও মাঝ সমুদ্রে ‘এসএস-৩’ নামে একটি বার্জ আটকে পড়েছে। তাতে ১৯৬ জন যাত্রী ও ক্রু মেম্বার রয়েছে। মাঝ সমুদ্র আটকে পড়া মানুষদের কে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে নৌ বাহিনী। সমুদ্রের মাঝে আটকে পড়ে থাকা মানুষজনদের কে উদ্ধার করার জন্য চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে মুম্বাইতে।