১ দিনের কন্যা সন্তানকে হত্যা করলেন পিতা, murder, basirhat,
তৃতীয় বার কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন স্ত্রী, রাগের বশে ১ দিনের কন্যা সন্তানকে হত্যা করলেন পিতা | ছবি - প্রতীকি ছবি

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ পরপর তিন কন্য সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা। পূর্বেই দুটি কন্যা সন্তানের মা ছিলনে রেহানা বেগম। পরবর্তীতে ফের অন্তঃসত্ত্বা হাওয়ায় ফের এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন রেহেনা। কিন্তু কন্যাসন্তানের জন্ম হওয়ায় মোটেও খুশি হননি তার স্বামী রহুল আমিন সর্দার। যার কারণে সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন পিতা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, বসিরহাটের বাসিন্দা রেহানা বেগম এবং স্বামী রহুল আমিন সর্দার। এই দম্পতির আগে দুটি কন্যা সন্তান ছিল। তৃতীয়বার রেহানা বেগম অন্তঃসত্ত্বা হন। তবে এবারও জন্ম হয় এক কন্যাসন্তানের। ফের কন্যা সন্তানের জন্ম কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না আমিন সর্দার। তার উপর আবার শিশু কন্যার গায়ের রং কালো। এই নিয়েও শুরু হয়েছিল অশান্তি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১৯ তারিখ অর্থাৎ রবিবার রাতে রেহেনা বেগম জন্ম দেন এক কন্যা শিশু সন্তানকে। তার পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। একেই কন্যা সন্তান ও তার ওপরে গায়ের রং কালো, কোন মতেই মানতে পারছিলেন না আমিন।

সোমবার হাসপাতাল থেকে সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে আসেন রেহানা বেগম। আর মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ফাঁকা ঘরে সন্তানকে গলা টিপে খুন করেন জন্মদাতা পিতা আমিন সর্দার। ঘরে ফিরে শিশুর অবস্থা দেখে রীতিমতো হতভম্ব হয়ে পড়েন মা রেহানা বেগম, কান্না আর আর্তনাদে ফেটে পড়েন তিনি। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। শিশুটির অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই তড়িঘড়ি করে শিশুটিকে বাদুড়িয়ার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু ওই হাসপাতালে উপস্থিত কর্মরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে।

অভিযুক্ত রহুল আমিন সর্দারকে আটকে রাখে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌছায় বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। তবে তার আগেই সদ্যোজাত শিশু কন্যার হত্যাকারীকে গণধোলাই করে প্রতিবেশিরা, তারপর তারা অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।