পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গুজরাটের কচ্ছের রনে বিশাল এলাকায় সোলার পার্ক তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে কাজও চলছে সেখানে। দিন যত বেড়েই চলেছে পপুলেশনের সংখ্যাও ততই বেড়ে চলেছে।
প্রতিটি ঘরে মানুষের বিদ্যুতের প্রয়োজন। গত ১০ বছর আগে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হতো ভারতবর্ষে। এখন বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৩৪ লক্ষ মেগাওয়াটে।
গুজরাটের কচ্ছের রনে বিশাল এলাকাতেই তৈরি হচ্ছে সোলার পার্ক। জনমানব শূন্য প্রায় মরুভূমি অঞ্চল বললেই চলে। একটি মানুষ কেউ দেখা যায়না দূর-দূরান্ত থেকে। ওই এলাকায় দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির নিচে কখনোই নামে না। এমনকি কচ্ছের রনে ৭২৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিশ্বের বৃহত্তম সোলার পার্ক তৈরি হচ্ছে।
নির্মাণ কার্য শুরু হওয়ার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে নির্মাণকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে। এই সোলার পার্ক থেকে বছরে ৩০ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরই উৎপাদন বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এই প্রজেক্ট এর উপর দেড় লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। সোলার প্রজেক্ট এর চিপ অফিসার জানিয়েছেন, অপ্রচলিত শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আরও বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে দূষণমুক্ত পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে শক্তি উৎপাদনে আগামী দিনের লক্ষ্যে।
গুজরাটের কচ্ছের রনে এর ওই সোলার পার্ক শুধু রাজ্যের নয় ,সারা দেশজুড়ে বিদ্যুতের বিপুল পরিমাণ চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। গুজরাট সরকারের লক্ষ্য ২০২২ সালে ১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সাড়ে ৪০০ মেগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদনের স্কিম তৈরি করেছে গুজরাট সরকার। বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এবার দেশজুড়ে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।
গুজরাটের কচ্ছের রনে এর এই সোলার পার্ক বিশ্বের বৃহত্তম সোলার পার্ক। সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশ্য, কারণ এর প্রভাবে জলবায়ু কে কোনরকম ক্ষতি না করেই প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব।