পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করত এক যুবক, সন্দেহ হওয়ায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তারপরই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত শনিবার রাতে আল কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে মনিরুদ্দিন খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওই যুবককে গ্রেফতারের পর একাধিক তথ্য সামনে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, মনিরুদ্দিন খানের বয়স মাত্র ২০ বছর। সে আল-কায়েদা এবিটি (ABT) ও একিউআইএস (AQIS) সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে লজিস্টিকস এর কাজ করত। জঙ্গি সংগঠনের লোকেদেরকে চুপিসারে ভারতে ঢুকিয়ে, তাদেরকে সকলের নজর এড়িয়ে ভারতীয় ভুয়ো পরিচয় পত্র করিয়ে দেওয়া ছিল তার কাজ। তারপরই ওই ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে একাধিক সিম কার্ড তোলা হতো। শুধু তাই নয়, ওই ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলার দিক দিয়েও পটু ছিল ওই যুবক।
জঙ্গি সন্দেহে ধৃত মনিরুদ্দিন খান এখনো পর্যন্ত কত জন জঙ্গি সংগঠনের লোককে ভারতীয় ভুয়ো পরিচয় পত্র করিয়ে দিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে তার কাছ থেকে বেশ কিছু ব্যক্তির নাম এবং ফোন নম্বর পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। মনিরুদ্দিন খানের কাছ থেকে পাওয়া ওই নামগুলি ভারতীয় ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এছাড়াও জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আল কায়েদাদের স্লিপার সেল তৈরি করার কাজও করত মনিরুদ্দিন।
জানিয়ে রাখি, মনিরুদ্দিনের আগে আজিজুল হক নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আজিজুল হক উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর এলাকার বাসিন্দা। শনিবার রাতে আজিজুল হককে গ্রেফতারের পর মনিরুদ্দিনের নাম উঠে আসে। তারপর ওই রাতেই মনিরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
ধৃত ওই যুবকের কাছ থেকে জানা গেছে, কলকাতা সহ গোট দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে আল-কায়েদা জঙ্গি। বর্তমানে আল-কায়েদা জঙ্গি সংগঠন ভারতের মাটিতে তাদের খুঁটি শক্ত করে চলেছে। শুধু কলকাতা থেকেই নয়, এর আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে হাসনাত নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। উত্তরপ্রদেশে ওই যুবকের গ্রেফতারের পর আজিজুলের নাম উঠে আসে। তারপর উঠে আসে মনিরুদ্দিনের নাম। ধৃত ওই যুবকে গতকাল অর্থাৎ রবিবার আদালতে হাজির করা হয়, আদালতের বিচারক ধৃত ওই যুবককে আগামী ১৪ ই নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।