পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ “রাজ্যে সাড়ে তিন কোটি ভ্যাকসিন পড়ে রয়েছে, কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন” বলে দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। করোনা ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ, সবকিছু নিয়েই রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিউ টাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসেছিলেন এদিন। সেখান থেকেই তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্যে আক্রমণ করলেন। তিনি এদিন বলেন, “হাজার হাজারে এফআইআর হওয়া উচিত।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতা থাকার ইচ্ছের কারণেই রাজ্যের মানুষের দুর্দশা।”
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ বাবু বললেন, “হাজার হাজার এফআইআর হওয়া উচিত। আমরা করতে পারিনি। ১৪ টি এফআইআর (FIR) পুলিশের কাছে করা গিয়েছে। পুলিশকে দিয়ে অত্যাচার করানো হচ্ছে। সিবিআই (CBI) এর উপর মানুষের ভরসা আছে। দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিত।”
এছাড়াও তিন ছাত্র ছাত্রীকে বহিষ্কার করায়, বিশ্বভারতীতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ফেটে পড়েছে। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিশ্বভারতীকে রাজনীতির আখড়া করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুন্ডামি করার জায়গা নয়। বিশ্বভারতী আমাদের কাছে গর্বের ব্যাপার। এইসব করে শান্তিনিকেতনের গরিমা নষ্ট করা হচ্ছে।”
এছাড়াও তিনি এদিন উপনির্বাচন ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে নিশানায় নিয়ে বলেন, “ক্ষমতা আর চেয়ারে থাকার ইচ্ছের কারণে এই রাজ্যের মানুষের দুর্দশা। ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছের কারণেই নির্বাচন চাইছে।”
আজ শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “বিজেপির পক্ষ থেকে একাধিক কর্মসূচি করা হয়েছে, কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষ যোগ দেন নি। যারা লোককে শেখাবে, তারাই আইন ভঙ্গ করছে। আর বিরোধীরা কিছু করলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। আইন তারাই তৈরি করছে, আবার তারাই মানছে না। যারা আইন করেছেন তাদের আইন মেনে উদাহরণ দেখাতে হবে।”
সমস্ত দিক থেকে রাজ্য সরকারকে যেমন নিশানায় নিয়েছেন দিলিপ বাবু, তেমনি কোভিড পরিস্থিতির দিক থেকেও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি দীলিপ ঘোষ। করোনার থার্ড ওয়েভ প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে তিনি এদিন বলেন, “থার্ড ওয়েভ নিয়ে আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। আরও সতর্কতা চাই। ভ্যাক্সিন দেওয়া বাড়াতে হবে। রাজ্যে সাড়ে তিনকোটি ভ্যাক্সিন পড়ে রয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালে টাকা দিয়ে ভ্যাক্সিন পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভ্যাক্সিন পাচ্ছে না। আইনে লকডাউন আছে, বাস্তবে তা করা হচ্ছে না। মানুষকে লাইনে দাঁড় না করিয়ে অ্যাকাউন্টে টাকা দিন। সাধারণ মানুষের পুরো বিষয়টা গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। আরও সচেতন করা উচিত।”