mamata banerjee, suvendu adhikari, শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ একটি সাংবাদিক বৈঠক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আপনার দুটো পা ধরলে যদি আপনি খুশি হন, তাহলে আমি পায়ে পড়তেও রাজি।” তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য কে নিয়েই তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যকে ঘিরে উপদেশ দিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর পায়ে পড়ার প্রয়োজন নেই, সংবিধান টুকু শুধু মেনে চলুন।” এই বিষয়টির মূল উৎস হল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তার তাণ্ডবলীলা দেখিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ ওড়িশায়। তবে গতকাল শুক্রবার বিপর্যস্ত এলাকাগুলি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বিপর্যস্ত এলাকা গুলি খতিয়ে দেখার পর কলাইকুন্ডাতে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। তবে অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে আকাশ পথে পাড়ি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগদান করতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় আধাঘন্টা দেরি হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতার।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠকে যোগদান করতে প্রায় ৩০ মিনিট দেরি হওয়ায় কারণ হিসেবে মমতা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ এর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে সাগরদ্বীপে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে কলাইকুন্ডা পৌঁছাতে তার প্রায় কুড়ি মিনিট সময় লেগেছে এবং বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় হেলিকপ্টার নিচে নামতে পারছিল না। যার কারণে বেশ কিছুক্ষণ ধরে আকাশপথেই চক্কর কাটতে হয়েছিল তাকে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে গতকালের এই ঘটনার পর থেকে নানা ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বসে অভিযোগ জানান, “আমাকে অপমান ও বদনাম করার জন্য দিল্লির বিজেপি নেতারা এই বৈঠক নিয়ে নানা তথ্য ছড়াচ্ছেন।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের প্রয়োজনে, রাজ্যবাসীর প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রীর পায়ে পড়তেও রাজি। কিন্তু এভাবে অপমান করবেন না।”

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকায় প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত আলোচনায় রাজ্যের বিরোধী দল নেতাকে ডাকা হল ? গুজরাট কিংবা ওড়িশার ক্ষেত্রে তো এমনটা দেখা গেল না। তাহলে বাংলায় কেন এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?”

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য কে ঘিরে, পাল্টা জবাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত ঠিকমতো জানেন না। উড়িষ্যার ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ বৈঠকে বিরোধীদল নেতাকেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ওই বৈঠকে যোগদান করতে পারেননি।” এছাড়াও তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপদেশ দিয়ে এককালীন তৃণমূলের মন্ত্রী তথা বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পায়ে পড়ার প্রয়োজন নেই। সংবিধান টুকু শুধু মেনে চললেই হবে।”