পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। তারই মধ্যে দিয়ে বঙ্গ চলছে বিধানসভা নির্বাচনী ভোট। আগামী ২৬ শে এপ্রিল বঙ্গে সপ্তম দফার বিধানসভা নির্বাচনী ভোট গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এছাড়া আগামী ২৯ শে এপ্রিল অষ্টম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
ভোট আবহের মধ্য দিয়ে রাজ্যে বেড়েছে করোনার প্রকোপ। অতিমারি করোনার দিকে নজর রেখে নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ মান্য করে চলছে ভার্চুয়াল সভা। আজ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারে ভার্চুয়াল সভা করলেন বহরমপুরের মানুষদের জন্য।
নিজ দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভার্চুয়াল সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিলেন তিনি। তীব্র আক্রমণ জানিয়ে বলেন, “চারিদিকে অক্সিজেন নেই, এদিকে ‘মন কি বাত’ করে চলেছেন।” মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, “উনার মনের বাত কে শুনতে চায়? ‘মন কি বাত’ বন্ধ করুন, আর কোভিড নিয়ে কথা বলুন।”
আজ রবিবার অতিমারি করোনা মোকাবিলায় দেশবাসীকে বেশ কয়েকটি আহ্বান জানানোর ক্ষেত্রে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীজি জানিয়েছেন, “করোনা আমাদের সকলের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। মানুষ কতটা কষ্ট সহ্য করতে পারে, তারও পরীক্ষা নিচ্ছে। অতিমারি করোনা অনেকের প্রিয়জনকে কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু ভেঙে পড়লে চলবে না।”
এছাড়াও তিনি ওই অনুষ্ঠানে আরও জানিয়েছেন, “করোনা মোকাবিলায় আমাদেরই জয় হবে। করোনা মোকাবেলায় রাজ্য ও কেন্দ্রকে একসাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যকে সহযোগিতার আবেদন করছি। রাজ্য ও কেন্দ্রকে একসঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করতে হবে।”
এদিনের ভার্চুয়াল সভা থেকে মোদিকে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যেখানে দেশে ঔষধ নেই, ইনজেকশন নেই, অক্সিজেন নেই, আর আজ তিনি ‘মন কি বাত’ করে চলেছেন।” কটাক্ষ করে বলেন, “ওনার মনের কথা কেউ শুনতে চায় না।” এদিন তিনি বলেন, “মনের কথা না বলে কোভিডের কথা বলুন, ইঞ্জেকশন দিন, কোভিড চিকিৎসার ঔষধ দিন। রাজ্যে যা কোভিড চিকিৎসার ঔষধ আসছে সেটা খুবই অল্প। তাতে কিচ্ছু হয় না,” বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা সংক্রমণ কে ঘিরে বলেন, “অতিমারি করোনার প্রভাব এতটা দেখা যেত না, যদি কোভিড টিকা ৬ মাস আগে দিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু মোদী টিকা না দিয়ে ৮০ টি দেশে বিনা পয়সায় টিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর এদিকে জ্বলছে দেশ। দিল্লিতে গণ চিতা জ্বলছে। আর উত্তরপ্রদেশে পাঁচিল তুলে দিয়েছে প্রশাসন, যাতে চিতার আগুন সাধারণ মানুষ দেখতে না পান।”
বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, “উত্তর প্রদেশের সরকার নতুন নিয়ম জারি করেছে। কোর্টে যাওয়া যাবেনা, যাকে খুশি গ্রেপ্তার করা যাবে। বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির অবস্থা এইরকমই। আপনারা বাংলায় শান্তিতে আছেন, কারণ বাংলায় তৃণমূল সরকার আছে বলে।”