mukul roy, bjp, narendra modi, মুকুল রায় কে ফোন করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ নারদা কাণ্ডের জেরে তৃণমূলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এছাড়াও বিজেপির প্রাক্তন নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় কেউ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তার করা নিয়েই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।

ঘাসফুল শিবিরের দাবি, নারদা কাণ্ডে যুক্ত ছিল বর্তমান বিজেপির বিধায়ক মুকুল রায় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা। তবে তাদেরকে কেন গ্রেফতার করা হলো না ? এই নিয়ে গতকাল রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।

তৃণমূল কংগ্রেস এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দলবদল করেছে বলেই কি তারা ছাড় পেয়ে গিয়েছে ? তৃণমূলের দাবি, নারদা কান্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বন্দোপাধ্যায়, মদন মিত্র, মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী কেও টাকা নিতে দেখা গেছে। তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেওয়া হলো না।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে নারদা কান্ডের টাকা নেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায়। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার কোন অনুমতি চাওয়া হয়নি। এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও একই কারণে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে।

কি কারনে চার্জশিট পেশ করা যাচ্ছে না সে বিষয়ে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভার স্পিকারের কাছে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে চার্জশিট পেশ করার জন্য আইনি প্রতিক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন চাওয়া হয়। কিন্তু লোকসভার স্পিকার “ওম বিড়লা” এখনো পর্যন্ত অনুমোদন দেননি। যার ফলে বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত চার্জশিট পেশ করা সম্ভব হচ্ছে না।