পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। আজ নারদা কান্ডের গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। তার মধ্যে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ক এবং তারই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়রকে।
আজ সকালে প্রথমেই সিবিআইয়ের আধিকারিকরা বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেপ্তার করেন তার বাড়ি থেকে। একে একে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে নিজাম প্যালেস নিয়ে যাওয়ার পর গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস।
নারদা কান্ডের এই গ্রেপ্তারকে ঘিরে “রাজনৈতিক” প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়েছে, একুশের নির্বাচনে মানুষ বিচার করেই রায় দিয়েছে। আর সেই কারণেই বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু মানুষের সেই রায় কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না গেরুয়া শিবির। যার যার ফলে নতুন চাল চেলেছে বিজেপি।

তবে এবার নারদা কান্ডের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে সবর হলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “এতে রাজনীতির কোন যোগ নেই। নির্বাচনের আগে যদি গ্রেফতার হতো তাহলে বিজেপির দিকেই আঙ্গুল উঠত। কিন্তু এখন আদালতের নির্দেশেই তদন্ত করছে সিবিআই।” তিনি জানিয়েছেন এতে বিজেপির কোন হাত নেই। তিনি বলেন, “সিবিআই আধিকারিকদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তারি করা হচ্ছে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই।”
তবে নারদা কান্ডের এই গ্রেফতার কে ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, “ওদের মুখে প্রতিহিংসার কথা মানায় না। আজ বলছে প্রতিহিংসার কথা। তারা যখন বিজেপির লক্ষ লক্ষ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া করেছে এবং যারা বিজেপি কর্মীদের খুন করেছে। তাদের মুখে এই প্রতিহিংসা কথাটা মানায় না।”
তৃণমূল সর্মথকরা দাবি করছে নারদা কান্ডে জড়িয়ে আছে মুকুল ও শুভেন্দু অধিকারী। তাহলে তাদেরকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। সে বিষয়ে রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, “সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে, তদন্ত যেভাবে এগোবে, সিবিআই তেমন ভাবেই কাজ করবে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই।”
তবে এই গ্রেপ্তারকে ঘিরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কে নিশানায় নিলেন। এছাড়াও রাজ্যপালকে রক্ত খেকো বাঘ বলেও কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের রাজ্যপাল রক্তের পেছনে দৌড়াচ্ছে। রাজ্যপাল একটা দৈত্য ও রক্ত খেকো বাঘ।”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “এই গ্রেপ্তারি অবৈধ। রাজ্যপালের এই অনুমোদন অবৈধ। রাজ্যপালের অনুমোদন দেওয়ার কোনো ক্ষমতাই নেই। গ্রেফতার সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করে বলেন, পুলিশকে না জানিয়ে কিভাবে সিবিআই তাদেরকে গ্রেফতার করল এবং তিনি বলেন রাজ্যপাল সম্পূর্ণ বিজেপির হয়ে কাজ করছে।