west bengal, suvendu adhikari, BJP, TMC, corruption in teacher's recruitment in bengal, পশ্চিমবঙ্গ, শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি, তৃণমূল, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি
মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতেই মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত, নিয়োগ দুর্নীতিতে সরব শুভেন্দু | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্তমানে একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠে আসছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এর ফলে শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কি বললেন তিনি ?

রাজ্যের স্কুলগুলিতে একের পর এক অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। একের পর এক মামলা রুজু হচ্ছে আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতে, অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে যোগ্য-চাকরিপ্রার্থীদের সেই চাকরিতে বসানো হোক। কিন্তু শাসকদল সেই নির্দেশ মানতে নারাজ।

এই ব্যাপারে সোমবার বিধানসভা চত্বরে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শাসক দলের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতেই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কার নির্দেশে এমন ঘটনা ঘটেছে সেটা এখন পরিষ্কার।

এই ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার দরকার বলে মনে করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই কারণেই তিনি এবং আরো ১০ জন বিজেপি বিধায়ক মিলে সিদ্ধান্ত নেন একটি মুলতবি প্রস্তাবের। তাদের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে অনবরত দুর্নীতি চলছে। কাজেই এ বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।

অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু ব্যানার্জি এবং সেখানে উপস্থিত বিজেপি দলের এই মন্তব্য মেনে নেননি। তার দাবি, এই বিষয়টি এখনও আদালতের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তাদের এই আলোচনার অনুমতি না দেওয়ায় তার প্রতি তীব্র প্রতিবাদ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে শাসক দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দল বিরোধী নেতারা।

হাজার হাজার ছেলে-মেয়েরা চাকরির জন্য ধর্না দিচ্ছে এবং রাজ্য-সরকার অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার জন্য নতুন পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চেয়েছেন, কার নির্দেশে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।