পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে সুনামির মত ছড়িয়ে পড়েছে। এমত অবস্থায় ভারতেও করোনা অতিমারির ঢেউ একেবারে সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে। কোথাও অক্সিজেনের অভাবে মারা যাছে রোগী, তো আবার কথাও দেখা দিচ্ছে বেডের আকাল। এমত অবস্থায় অক্সিজেন সিলিণ্ডারের অভাবে যাতে রোগী মরণাপন্ন না হয়, সেই জন্যই একটি যন্ত্রের নাম বার বার উঠে আসছে। সেটি হল “অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (oxygen concentrator)।”
এর আগেও অনেক রকম অসুখের ক্ষেত্রেই উঠে এসেছে এই যন্ত্রের নাম। ফুসফুসের কোনও রোগ কিংবা ফাইব্রোসিস হলেও রোগীর শরীরে ফুসফুস ক্রমশ ছোটো হয়ে আসে। ফলে সেক্ষেত্রে অভাব হয় অক্সিজেনের। সাধারণত সাধারণ মানুষের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা থাকে ৯৫ শতাংশ।
কিন্তু ফাইব্রোসিস হলে, সেই অক্সিজেন কমতে থাকে এবং তখন প্রয়োজন হয় ” অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (oxygen concentrator)” যন্ত্রের। বর্তমানে এই যন্ত্রেরই প্রয়োজন হয়েছে করোনা রোগীর চিকিৎসায়। নাগপুরে এক ব্যাক্তি করোনা আক্রান্ত হলে হাসপাতালে বেড না পাওয়া গেলে বাড়িতেই তাঁকে ওই যন্ত্রের মাধ্যমে অক্সিজেন দিয়ে স্বাভাবিক রাখা হয়।
অনেকেই হয়ত মনে করবে কিভাবে এই যন্ত্র কাজ করে। সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে এই যন্ত্র পরিবেশ থেকে বাতাস সংগ্রহ করে। সেখান থেকে অক্সিজেন বাদ রেখে বাকি সমস্ত রকম অন্য গ্যাস বার করে দেয় এই যন্ত্র। সেখানে বাদ রাখা অক্সিজেন গিয়ে জমা হয় এবং নলের মাধ্যমে রোগী সেই অক্সিজেন নিজেদের ভেতরে গ্রহণ করে।
এই যন্ত্রে থাকে নল যাকে সময় মত বাড়িয়ে কমিয়ে অক্সিজেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই যন্ত্রে অক্সিজেনের অপচয় অনেক কম হয়। এছাড়াও অনেক অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, রোগীর অক্সিজেন ৮০ নীচে নেমে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক কাজে দেয় এই যন্ত্র।