পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ আগামী ২২ শে এপ্রিল রাজ্যের ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ পর্ব। ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চারটি জেলায় ৪৩ টি আসনে। ষষ্ঠ দফার ভোটকে কেন্দ্র করেই নির্বাচনী প্রচারে আজ ফারাক্কায় জনসভা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা।
“এবার বিধানসভা নির্বাচনী ভোটে দিল্লির সঙ্গে বাংলার লড়াই। পুরো দিল্লি একদিকে। আর বাংলা আরেকদিকে।” তিনি বড় মহা যুদ্ধে নেমেছেন বলেই মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার সভামঞ্চ থেকে এমনই বক্তব্য রাখলেন। এবার বাংলাকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির।
তবে আজ মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভা মঞ্চ থেকে বিজেপিকে এক হাতে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি বলেন, “এবার বিধানসভা নির্বাচনী ভোটে দিল্লির সঙ্গে বাংলার লড়াই চলছে। পুরো দিল্লি একদিকে। আর বাংলা আরেকদিকে। ব্রিটিশরা বাংলা দখল করতে এসেছিল। আর এখন বিজেপি বাংলা দখল করতে আসছে।”
তবে তিনি বাংলার মানুষকে আশ্বাস দিয়েছেন, “জিতবে বাংলার মানুষই, আর হারবে বিজেপি।” এদিনের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে “এনআরসি” (NRC) ও “এনপিআর” (NPR) এর কথা তুলে ধরে বিজেপির দিকেই নিশানা করে বলেন, “দিল্লি সরকার বলেছে ‘এনআরসি’ করবে ‘এনপিআর’ করবে। আর বাংলার মানুষকে বাংলা থেকে তাড়িয়ে দেবে। আমি কিছুতেই তা হতে দেব না।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পাহারাদার বলে নিজেকে আখ্যা দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এনআরসি ও এনপিআর আমি করতে দেব না। আমি আপনাদের পাহারাদার।” নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরের নেতারা বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রেখেছেন যে রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রে একই সরকার থাকলেই উন্নয়ন হবে রাজ্যে।
এবার ডবল ইঞ্জিন প্রসঙ্গ কে তুলে ধরে আরও একবার নিশানায় নিলেন বিজেপিকে। এদিনের সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে নিশানায় নিয়ে বলেন, “বিজেপি বলেছে রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়বে। আপনারা গুজরাট টাকে দেখুন। উত্তরপ্রদেশ টাকে দেখুন, আসাম টাকে দেখুন ওখানে তো ডবল ইঞ্জিনের সরকার। সেই ডবল ইঞ্জিনের সরকার কি করছে দেখুন।”
এদিন তিনি রাজ্যে দফায় দফায় ভোট হওয়ার কারণে করোনা সংক্রমন বিদ্ধির কারন আজ তুলে ধরলেন। তিনি বলেন, “চারিদিকে বিপজ্জনক ভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ৫ দফার ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। আমরা বলেছিলাম শেষ তিন দফার ভোট অন্তত একদিনে করানো হোক। তাতে মানুষ বাঁচবে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি।”