পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সারা দেশে যে মারাত্মক ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে একমাত্র ভ্যাক্সিনকেই পরিত্রাণের উপায় হিসেবে ভাবছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা।
৬০ বছরের ওপরে ভ্যাক্সিন দেওয়া অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে, তার পরে হয়েছে ৪৫ বছরের ওপরে এবং এখন চলছে ১৮ বছরের ওপরে সকলকে ভ্যাক্সিন প্রদান। তবে শিশুদের ওপর বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেলো কোভ্যাক্সিন নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেক।
বর্তমানে দেশের অবস্থা চিন্তা করেই সকলকে ভ্যাক্সিন প্রদান আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ১৮ বছরের ওপরে যাদের বয়স তাদেরকে দেওয়ার কাজ শুরু করার পরই সকলকে একটা চিন্তাই ভাবাচ্ছে যে, ছোটো শিশুরা অর্থাৎ ২ থেকে ১৮ বছরের বয়সীদের মধ্যে যাতে ভ্যাক্সিন দেওয়া যায়। কারণ বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন যে, করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ তে কোনও কারণে কম বয়সী এবং শিশুরা আক্রান্ত হয়ে পড়বে কিনা।
শুধুমাত্র ভারতেই নয় আমেরিকাতেও বর্তমানে বাইডেন সরকার ফাইজারকে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছেন। ৫২৫ টি বিষয়ের ওপর এই ট্রায়াল হবে। যেসমস্ত জায়গায় এই ট্রায়াল হবে সেগুলি হল- দিল্লী এবং পাটনা এইমস, নাগপুর মেডিট্রিনা ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স এ। যদিও এর আগেই হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটিকের তরফে সিডিএসসিও এর কাছে ট্রায়ালের আবেদন রাখা হয়েছিল।
বর্তমানে এই ট্রায়ালের মাধ্যমে দেখতে হবে যে শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের মধ্যে এই টিকার প্রতিক্রিয়া কিংবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তবেই এই টিকা ছাড়পত্র পাবে বলে জানা যাচ্ছে।