mamata banerjee, suvendu adhikari, mamata dhrna, dhrna, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ধর্না, শুভেন্দু অধিকারী
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ পঞ্চম দফার ভোটের আগেই নির্বাচনী প্রচারে নির্বাচন কমিশনের বিধি ভঙ্গ মূলক বক্তব্যের জেরে ২৪ ঘন্টার জন্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল মমতার। গত সোমবার রাত ৮ টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮ টা পর্যন্ত কোন প্রচার করতে পারেননি তিনি।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল বেলা বারোটা নাগাদ ধরনায় বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেখানে বসে তিনি একটি কালো কাপড় মুখে জড়িয়ে নিরবে ছবি আঁকতে থাকেন। বেশ কয়েকটি ছবিও আঁকেন তৃণমূল নেত্রী।

এবার তৃণমূল সুপ্রিমোর ধর্ণাকে ঘিরেই তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল ছুট বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দুর। শুভেন্দু অধিকারী গতকাল রাজারহাট বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের হয়ে একটি সভা করেন। সেই সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্ট মানেন না, সংবিধান মানে না। তিনি সকাল থেকে ধর্নায় বসে একটি চাপ-এর ছবি এঁকেছেন। এতটাই দুর্ভাগ্য ওনার যে সেই ছবি কেনার মতো কেউ নেই। ছবিটা কিনবে যারা তারা তো জেলে।”

তিনি ওই সভা থেকে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আমাকেও শো-কজ করেছে। আমি সেই শো-কজের জবাব দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আমাকে আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে। আমি কমিশনের নির্দেশ মেনে চলবো।”

এছাড়া তিনি আরও বলেন, “আমাদের উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনার উপর ৪৮ ঘন্টার জন্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। রাহুল সিনহা কমিশনের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা মানতে পারেননি। তৃণমূল নেত্রী ধর্নায় বসে পড়েছেন।”

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি পুরনো কথা তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী শিক্ষামন্ত্রী পুরনো কথা তুলে ধরে তৃণমূল সুপ্রিমো কে আক্রমণ করে বলেন, “যারা অযোগ্য তারাই ধর্নায় বসে।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, বাংলাকে গুজরাটিদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। বহিরাগতদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী গতকাল বলেন, ” তৃণমূল নেত্রী মমতা বলেছেন বাংলাকে গুজরাটিদের হাতে তুলে দেবেন না। কিন্তু উনি তো সারাদিন গান্ধী মূর্তির পদদেশে ধর্নায় বসে ছিলেন। উনি কি জানেন মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান কোথায় ?”