পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বেড়েই চলেছে তাপমাত্রার। ফেব্রুয়ারি শেষ হতে না হতেই গরমে হাঁক-পাক অবস্থা মানুষের। এদিকে আবার আবহাওয়া দপ্তরের ইঙ্গিতে শোনা যাচ্ছে, এ বছর ঘনঘন নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের প্রকোপে পড়তে পারে বাংলা। সেই সাথে, বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টি এবং কালবৈশাখী ঝড়েরও প্রাদুর্ভাব বাড়বে। দেখে নিন কেমন থাকবে আজকের (২২শে ফেব্রুয়ারী ২০২৩) আবহাওয়া –
আজকের আবহাওয়া
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ডিগ্রিঃ ৩১.১ সেলসিয়াস
দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ডিগ্রিঃ ২৩ সেলসিয়াস
বাতাসের গতিবেগঃ ৩.৬ কিমি প্রতি ঘন্টা
বৃষ্টির সম্ভাবনাঃ নেই
দিনের সর্বোচ্চ জলীয়বাষ্পের পরিমাণঃ ৮৬ শতাংশ
দিনের সর্বনিম্ন জলীয়বাষ্পের পরিমাণঃ ৫৮ শতাংশ
সূর্যোদয়ঃ ৬টা ০৪মিনিট
সূর্যাস্তঃ ৫টা ৩৭মিনিট
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
আজ এবং কাল উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আস্তে আস্তে উত্তরবঙ্গে কুয়াশার দাপট কমতে শুরু করবে। আগামী ৫ দিনে, দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেমন একটা পরিবর্তন ঘটবে না। পুরো উত্তরবঙ্গ জুড়েই রাত ও সকালের দিকে হালকা শীতের পরশ অনুভূত হবে। এই সময় উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আপাতত চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। আগামী ৪-৫ দিন দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও একই জায়গায় বজায় থাকবে। বিশেষত রাতের তাপমাত্রায় সেভাবে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণী হওয়া চালু হওয়াতে দিনের বেলায় সামান্য আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও হতে পারে। রাতের বেলায় শিশির দেখা গেলেও কুয়াশা দাপট তেমনভাবে আর চোখে পড়বে না। এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
আগামীকালের আবহাওয়া
এখন দক্ষিণবঙ্গে দিনের বেলাতেও তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরেই থাকবে। তবে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা বরাবরই দক্ষিণবঙ্গের থেকে কম থাকে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণবঙ্গ আপাতত শুষ্কই থাকবে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয়বাষ্প প্রবেশ করছে বাংলার আকাশে। যার ফলে দিনের বেলায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে।