পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা এখনও সহনশীলতার মধ্যে থাকলেও ক্রমশই বেড়ে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত এক ফোঁটা বৃষ্টি দেখা মেলেনি দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়াবিদদের মতামত অনুযায়ী, এবারের গরমে পশ্চিমবঙ্গবাসীর নাকানি চোবানির অন্ত থাকবে না। শোনা যাচ্ছে, গত ১০০ বছরের মধ্যে এটিই সবথেকে উষ্ণতম বছর হতে চলেছে। রাজ্যের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা এখনই ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। দেখে নিন কেমন থাকবে আজকের (৩রা মার্চ ২০২৩) আবহাওয়া –
আজকের আবহাওয়া
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাঃ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাঃ ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসের গতিবেগঃ ১.৮ কিমি প্রতি ঘন্টা
বৃষ্টির সম্ভাবনাঃ নেই
দিনের সর্বোচ্চ জলীয়বাষ্পের পরিমাণঃ ৬২ শতাংশ
দিনের সর্বনিম্ন জলীয়বাষ্পের পরিমাণঃ ৪৯ শতাংশ
সূর্যোদয়ঃ ৫টা ৫৭মিনিট
সূর্যাস্তঃ ৫টা ৪১মিনিট
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
আগামী ৫ দিন উত্তরবঙ্গের দিন বা রাতের তাপমাত্রায় খুব একটা পরিবর্তন আসবে না। বিহার সংলগ্ন জেলাগুলির কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে কুয়াশা দেখা যেতে পারে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় আগামী ৪-৫ দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের বাদবাকি জেলাগুলি শুকনোই থাকবে। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
খুব শিগগিরই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। কলকাতা শহর থেকে দূরবর্তী জেলাগুলিতে রাত বা ভোরের দিকে সামান্য তাপমাত্রা কমলেও দিনেরবেলা আর্দ্রতাজনিত ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। উপকূলসংলগ্ন জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও সকালের দিকে কুয়াশার প্রকোপ দেখা দেবে। আগামী ৫ দিন গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই দিন বা রাতের তাপমাত্রায় বিরাট কোন পরিবর্তন আসবে না। আপাতত দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
আগামীকালের আবহাওয়া
হোলির আগ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের কোথাও তাপমাত্রার বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখা দেবে না। অন্যবার হোলির আগে দক্ষিণবঙ্গের দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও এ বছর তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গের পার্বত্যজেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভোরের দিকে কুয়াশা দেখা যেতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম হাওয়া প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প নিয়ে বাংলার আকাশে প্রবেশ করায় দিনের বেলা ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে।