পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্তান জন্ম নিলেকে না খুশি হয়। সন্তানের মাতা, পিতা থেকে শুরু করে পরিবারের সকলেই খুশি হয়। কিন্তু এখানে খুশি হওয়ার বদলে সন্তানকে হত্যা করার চেষ্টা করলেন বাবা। ২ দিন হয়েছে সবে মাত্র বাবা হয়েছেন ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে দেখা করতে এসেছিলেন নিজের ২ দিনের সন্তান এবং স্ত্রী এর সাথে। তবে দেখা করতে এসে ঘটে গেল এক ভয়ানক কান্ড।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলায়। হাসপাতালে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় ওই ব্যক্তির। কথা কাটাকাটি শুরু হতে না হতেই চিকিৎসাধীন থাকা স্ত্রীর পাশের কটে শুয়ে থাকা ২ দিনের নবজাতক শিশুকে তুলে আছাড় মারলেন ওই শিশুর পিতা। মহারাষ্ট্রের পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর কথা কাটাকাটির কারণে নিজের দুই দিনের নবজাতক শিশুকে তুলে আছাড় মারেন ওই ব্যক্তি। বর্তমানে ঐ শিশুটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবারে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে অমরাবতী সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে সন্ধ্যার ভিজিটিং আওয়ার এর সময় ৩২ বছর বয়সের ওই যুবক তার স্ত্রী এবং সদ্যোজাত শিশুকে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। হাসপাতালে দেখা করতে গিয়ে হঠাৎ করেই ওই দুজনের মধ্যে কথা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
তারপরই ওই ব্যক্তি হঠাৎ করে তার স্ত্রীর পাশের কটে শুয়ে থাকা নিজের ছেলেকে তুলে আছাড় মারে মাটিতে। তৎক্ষণাৎ চিৎকার করে উঠলেন স্ত্রী। ওই স্ত্রীর এহেন আর্তনাদ শুনে নার্সরা ছুটে আসেন ছুটে এসে ঘটনা স্থলে। ঘটনা স্থলে এসে দেখেন এহেন অবস্থা। তারপরই নার্সেরা ওই ব্যক্তিকে চেপে ধরে রাখে এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
হাসপাতালে খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই নবজাতক শিশুটি অমরাবতী মেডিক্যাল কলেজেরই ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই নবজাতক শিশুটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। ওই নবজাতক শিশুটির মা জানিয়েছে, ২০২০ সালে তার এবং ওই যুবকের বিবাহ হয়। বিবাহ কাল কাটলেও কিছুদিন পর থেকেই তার স্বামী তার চরিত্রের নিয়ে সন্দেহ করতে থাকেন। ২০২০ থেকে এখনো পর্যন্ত এইভাবে তাদের জীবন কেটে আসছিল।
তারপর ২০২২ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর ওই যুবতী তার প্রথম সন্তান হিসেবে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। গত শনিবার ওই ব্যক্তি নিজের পুত্র সন্তান এবং স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন হাসপাতালে। সেখানে এসে ওই ব্যক্তি এবং তার স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপরই তাদের কথা কাটাকাটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। পরবর্তীতে নার্সেরা এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে রাখেন এবং পুলিশের হেফাজতে করে দেন। ওই ব্যক্তিকে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে খুনের চেষ্টা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার। বর্তমানে ওই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।