একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনের পর ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুটি সাজাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তবে এরই মধ্যে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।
এদিন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক দলীয় সভায় যান। সেখান থেকেই নাম না করে প্রশান্ত কিশোরকে নানাভাবে আক্রমন করতে থাকেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, “এতদিন যেভাবে দল চলত, এখন আর তা হবে না। কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে দুঃখিত। কারণ আমি আর কিছু করতে পারব না। আইপ্যাক সংস্থা দলের কেন্দ্রীয় স্তরকে রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সব স্থির হবে। কাকে সৎ আর কাকে ওরা অসৎ বলবে আমার তা জানা নেই।”
এছাড়া তিনি আরও বলেন, “বিহার থেকে এসে দিল্লী রোডের ধারে হোটেলে থাকছেন, আর শ্রীরামপুর লোকসভা নিয়ে দলের রিপোর্ট কার্ড বানাচ্ছেন। আর তাঁর রিপোর্ট দেখেই সব ঠিক করা হচ্ছে। কিন্তু গত ৩০-৩৫ বছর ধরে যারা রাজনীতির ময়দানে লড়াই করে চলেছেন, তাঁদের রাজনীতির জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে ওই এক ব্যক্তির কলমের খোঁচায়। দলে যোগ্য কর্মীদের মর্যাদা দিতে শিখুন, আঘাত দেবেন না।”
এর পাশাপাশি তিনি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “২০১৮-এ বিরোধীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার কারণেই, তার ফল ভুগতে হয়েছে তাঁদের। আর দেখুন যে মানুষগুলো ভোট দিয়েছিলেন, আজ তারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “রাজনীতিতে আসা দিদির জন্যই। লড়াই করেছি ময়দানে। তাই যতদিন দিদি আছেন, ততদিন রাজনীতি করে যাব, তারপর আর থাকব না।”