পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের কে গ্রেফতার করায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে রাজ্যের তৃণমূল সমার্থকরা। আজ সোমবার সকালে শাসক দলের তিন নেতাকে নিজাম প্যালেসে গ্রেফতার করা হয়। যার কারণে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে তৃণমূল সমর্থকরা।
রাজ্যজুড়ে এমন ঘটনার জন্য রাজ্যপালকে দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে নিজাম প্যালেসের সামনে ঘাসফুল শিবিরের কর্মী সর্মথকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিআইডি অফিসার-দের উপর ইট-পাটকেল ছুড়ে মারতে শুরু করে। নিজাম প্যালেস এর সামনে রীতিমতো একপ্রকার ধর্নায় বসেছে তৃণমূল সমর্থকরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেস এ গিয়ে ধর্নায় বসার পর থেকেই তৃণমূল সমর্থকরাও ধর্নায় বসেছে।
আরও পড়ুনঃ নিজাম প্যালেসে ধর্নায় মমতা, তাঁকেও গ্রেফতারির আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই
তৃণমূলের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন রাজ্যপালকে। এছাড়াও তারা জানিয়েছে, “যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দলীয় নেতা মন্ত্রীদের কে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে। রাত হয়ে গেলেও চলবে এই বিক্ষোভ। যত নষ্টের গোড়া ওই রাজ্যপাল।”

নারদা কাণ্ড নিয়ে শাসক দলের অনেক নেতাই রাজ্যপাল কে নিশানা নিয়েছেন। তারই মধ্যে একজন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল কে আক্রমণ করে বলেন, ”রাজ্যপাল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। রাজ্যপাল বিজেপির পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। রাজ্যপাল মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন না কেন ? রাজ্যপাল বিজেপির কথা শুনছেন। রাজ্যের সঙ্গে কোনও পরামর্শই করেননি।”
আরও পড়ুনঃ “ওদের মুখে প্রতিহিংসার কথা মানায় না”, নারদা কান্ডের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া রাহুল সিনহার
এছাড়াও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, “২০১৬ সালের মামলা। তাহলে এখন কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে? এই রাজ্যপাল রক্তচোষা, পাগলা কুকুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন।”