পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভার নির্বাচন দোরগোড়ায়। এরই মাঝে রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভায় জানিয়েছেন ‘দম বন্ধ করা পরিবেশ’ তৃণমূলের। একের পর এক তৃণমূল নেতা পদত্যাগ করে চলেছেন। এবার তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে গেরুয়া বাহিনী।
দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, “আমি আজ রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তি বেড়েই চলেছে। সেখানে আমরা কিছু বলতে পারিনা। কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমার দল আমাকে এখানে পাঠিয়েছে। আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। রাজ্যে হিংসা নিয়ে কিছু করতে পারছিলাম না। দম বন্ধ হয়ে আসছিল আমার। আমার অন্তরাত্মা বলে উঠলো, তুমি এখানে বসে কিছু করতে পারছ না। তাহলে তোমার ইস্তফা দেওয়া উচিত”। বলে তিনি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিলেন। অন্যদিকে দলত্যাগী দীনেশ ত্রিবেদী কে বিজেপিতে যোগদান করার আহ্বান জানালেন দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগী দীনেশ ত্রিবেদী কে কটাক্ষ করে বললেন, ‘বড় কিছু পাওয়ার লোভে দলকে পিছন থেকে ছুরি মারলেন’।এছাড়াও তিনি আরো বলেছেন, “এরা হচ্ছে সুবিধাবাদী লোক। এরা জীবনে কারো উপকার করেননি। ২০১৯ এ হেরে গিয়েছে তখন থেকেই বলে আমি ব্যারাকপুর এর দায়িত্ব নেব। কিচ্ছু করেনা এরা”।
এই প্রসঙ্গে মদন মিত্র জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ১৯৪ টি আসনের প্রার্থীর একটাই নাম সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু ও রাজিব চলে গিয়েছে তাতে দলের কি ক্ষতি হয়েছে। দীনেশ ত্রিবেদী চলে গেলেও দলের কোনো ক্ষতি হবে না জানালেন মদন মিত্র। তিনি জানালেন ফ্যাট কমানোর পর আমার শরীর ফিট। আমার যত ফ্যাট কমছে তৃণমূল ততই স্ট্রং হচ্ছে।