টেট, tet, Primary Tet
টেট চলাকালীন পরীক্ষার্থীর ফোন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে ! আবারও কি দুর্নীতির আভাস ?

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসক দলের। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। তার ওপর চলেছে বিভিন্ন চাকুরি প্রার্থীদের অনশন, আন্দোলন ও প্রতিবাদ মিছিল। আর এরই মধ্যে গত ১১ই ডিসেম্বর রবিবার রাজ্য জুড়ে সম্পন্ন হল টেট পরীক্ষা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রায় ডুমুরের ফুলই হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই পরীক্ষাটি। দীর্ঘ ছয় বছর পর দেখা মিলল টেটের। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সাড়ে ছয় লাখেরও ওপরে।

তবে গত রবিবার টেট পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা দেখে সাধারণ জনগণ বেশ আশ্বস্ত বোধ করছিলেন। জায়গা জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর ঢল। সেন্টার গুলির সামনে কঢ়া পুলিশি নিরাপত্তা, উন্নত সিকিউরিটি সিস্টেম, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি গণনা। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো রকমের ধাতব জিনিসপত্র, ঘড়ি, পেন্সিল, স্কেল, ক্যালকুলেটর, ফোন, এমনকি সোনা-রুপোর গয়না পরেও ঢোকারও অনুমতি ছিল না। প্রায় প্রত্যেকটি সেন্টারেই শান্তিপূর্ণভাবে টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছিল। এমনটাই জানা গেছে ব্রাত্য বসুর কথা অনুযায়ী।

কিন্তু একি? মুর্শিদাবাদের ছবিটি যে সম্পূর্ণ আলাদা। শোনা গিয়েছিল কোনো রাজনৈতিক দল-নেতারা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে টহল দিতে পারবেন না। তারা শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে যতটুকু করণীয় ততটুকুই করতে পারবেন। কিন্তু মুর্শিদাবাদের এক গ্রাম পঞ্চায়েতের পরীক্ষা কেন্দ্রে অবাধ পায়চারি দেখে হতবাক জনগণ। তিনি রীতিমতো পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করছিলেন। এমনকি এক পরীক্ষার্থী তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সমানে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছিলেন। সেই তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে কথোপকথনের ছবি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়।

এই ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপুর স্বরূপপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। পঞ্চায়েত প্রধানের নাম মোমিনুল হাসান। তিনি টেট পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন আর পরীক্ষার্থীর সাথেও বিনা দ্বিধায় ফোনের মাধ্যমে কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এই ছবি ভাইরাল হতেই প্রশ্ন ওঠে টেটের বাস্তবতার ওপর। প্রশ্ন – কিভাবে তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করার সুযোগ পান? আর সেই পরীক্ষার্থীও কিভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার সাহস পায়?

এই ঘটনার পর রাজ্যবাসী মনের সন্দেহ জাগে – তবে কি আবার আগের মতই দুর্নীতির গ্রস্থ নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে? এবারও কি চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে যোগ্যরা?