jagdeep dhankhar, west bengal, কুশপুতুল,
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ  নারদা কান্ডে চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তার করায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে তৃণমূল সমর্থকরা। এমনকি রাজ্যের রাজ্যপালকে বিজেপির ‘তোতাপাখি’ এবং বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি কার্যত জারি রেখেছে তৃণমূল সমার্থকরা। রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ এনে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রতিবাদে মহিলারাও অংশগ্রহণ করেছেন। এই প্রতিবাদে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়-এর কুশপুতুল দিয়ে মৃতদেহ বানিয়ে শোক পালন করছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।

আরও পড়ুনঃ “বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বাবাকে”, বিস্ফোরক মন্তব্য ফিরহাদ কন্যার

এছাড়াও শবদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার খাটিয়া বানিয়ে, সেই খাটিয়ায় বেঁধে গ্রাম গ্রাম ঘুরে রাজ্যপালের কুশপুতুলে আগুন ধরিয়ে শেষ কার্য সম্পন্ন করেন তৃণমূল সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির অরবিন্দ অঞ্চল এলাকায়।

তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সনজিত কর্মকার, মিষ্টু দে, কাকলি গুহ, গোপাল রায়, এছাড়াও তৃণমূলের অনেক নেতাই উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদী সভায় উপস্থিত হয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সনজিত কর্মকার জানিয়েছেন, “রাজ্যের রাজ্যপালের নিরপেক্ষভাবে থাকার কথা। কিন্তু আমরা সেটা দেখতে পাচ্ছি না। তিনি রীতিমতো বিজেপির হয়ে কাজ করছেন।”

jagdeep dhankhar, west bengal,
চিত্র- সংগৃহীত

এছাড়াও তিনি আরও জানান, “একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। সেটা বিজেপি ঠিক ভাবে মেনে নিতে পারছে না। সেই কারণেই এখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে অন্য কৌশলে দমন করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আর রাজ্যপাল বিজেপির সহযোগিতা করছে। সেই কারণেই আমরা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়-এর কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ জানালাম।”

অতিমারি করোনাভাইরাস এর জেরে রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন। তবে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তা না মেনে এবং করোনা বিধি লংঘন করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করার পর, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সকাল দশটার পরে রাস্তায় মানুষজন বেরোলে পুলিশ তাদেরকে ধরপাকড় বা জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে মদন মিত্র বললেন “সতর্ক থাকুন, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে”

কিন্তু আজ তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের এই প্রতিবাদে বহু রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী সমর্থকরা জমায়েত করেছিল। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। এরাজ্যে কেমন লকডাউন চলছে তা নিয়েই প্রশ্ন করছে বঙ্গের মানুষ ? মহামারি করোনার জন্য যে লকডাউন ডাকা হয়েছে, সেটা কি তাহলে শুধু সাধারণ মানুষের জন্যই ? আর নেতা মন্ত্রীদের জন্য কোন প্রকার লকডাউন নেই ? তা নিয়ে চলছে প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলে।