পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার ভোট। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের লড়াইটা বেশ জোরদার। নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের হয়ে লড়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে দুপুর একটার ভিতর প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট হয়ে গিয়েছে। সকাল সকাল ভোট দান করার পর বুথে বুথে ঘুরতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ও সংযুক্ত মোর্চার মীনাক্ষী দেবী কে। তবে সকাল থেকে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীকে কোথাও চোখে পড়েনি।
তিনি সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার অস্থায়ী বাসভবনেই ছিলেন। সেখান থেকেই ভোট কেন্দ্র গুলির খোঁজ খবর রাখছিলেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠে আসছে একের পর এক। তৃণমূল কর্মীদের ভোট দিতে দিচ্ছে না, বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ উঠে আসছে। এমনকি বেশ কয়েকটি বুথেও তৃণমূল এজেন্টের বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
শেষমেষ দুপুর ১:৩০ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের রেওয়াপাড়ার অস্থায়ী বাসভবন ছেড়ে বুথ পরিদর্শনে যান তিনি। যে সব ভোট কেন্দ্র থেকে অভিযোগ উঠে আসছে সেই সব ভোট কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সঠিক ভাবে ভোট হচ্ছে কিনা, তৃণমূলের এজেন্ট দের বসতে দেওয়া হচ্ছে কিনা। সে সব গুলি খতিয়ে দেখতে প্রতিটি বুথে হুইলচেয়ারে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
ভোটকেন্দ্রে কোনো গন্ডগোল হচ্ছে কিনা দেখতে ‘বলায়’ এর একটি বুথে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। বুথের বাইরে যেন যুদ্ধক্ষেত্র। দু’দলের সমর্থকদের স্লোগানে পাল্টা স্লোগান। সেই অবস্থা সামলাতে হিমশিম অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ।
সেই অবস্থা দেখে বুথের ভিতরে বসেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কে ফোন করেন। রাজ্যপালের সাথে তিনি বলেন, ‘আমরা কোর্টে যাব, লড়বো’। এমন মন্তব্যে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘সাড়ে ছটায় মক পোল হয়েছে, সাতটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে, ৭০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তৃণমূল প্রার্থী এখন ভোট দেখতে বেরিয়েছ। এসব হচ্ছে জয় শ্রী রামের খেলা”।