পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজয় করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের নীলকুঠি জয় করার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুংকার দিয়েছিলেন বাংলার পর অন্যান্য রাজ্যেও বিজেপিকে হারাবেন। সেই অঙ্গীকার মতই গোয়াতে এবার প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেস ভোটযুদ্ধে নামে। তবে ভোট যুদ্ধে নেমে একটি আসনেও ফুল ফোটাতে পারেনি ঘাসফুল শিবির।
সাম্প্রতিক পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস শুধুমাত্র গোয়াতেই প্রতিদ্বন্দিতা করেছে। একুশের মাঝামাঝি সময় থেকেই গোয়াতে তৃণমূলের ভিত শক্তপোক্ত করতে কাজ শুরু করেছিল ঘাসফুল শিবির। গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতারাও তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। এমনকি লিয়েন্ডার পেজ, নাফিসা আলির মতো বড় বড় সেলিব্রিটিরাও গোয়ার তৃণমূল সংগঠনে এসে যোগদান করেন।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২০০-র অধিক আসন পেয়ে বিজেপিকে পরাজায় করার পর, অন্যান্য রাজ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজেপিকে হারানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার কারণে গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে আটঘাট বেঁধে নেমে ছিলেন মমতা। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই রয়ে গেল। একটি আসনও পায়নি তৃণমূল বরং অভিযোগ উঠল ‘নিজের নাক কেটে’ কংগ্রেসের ‘যাত্রা ভঙ্গ করলো’ তৃণমূল।
মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ভোটযুদ্ধের আগে প্রচার করতে খামতি রাখিনি তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মতো গোয়াতেও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। তবে ভোট ময়দানে তা কোনো রকম কাজে আসেনি। তৃণমূল আসন না পেলেও তাদের জোট সঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি দুটি আসনে জয়লাভ করেছে। তবে বিজেপির শরিক হিসেবে গোয়ার পরবর্তী সরকারে শামিল হতে চলেছে তারা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভোটযুদ্ধে কোনো আসনে জিততে না পারলেও, প্রায় ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। তবে ওয়াকিবহাল এর মতে, গোয়াতে তৃণমূল আসলে কংগ্রেসের ভোট কাটলো। কংগ্রেসের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ালো তৃণমূল। আর যে কারণেই বিজেপির পথ পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।