saayoni ghosh, jagdeep dhankhar, নন্দিগ্রাম, শীতলকুচি, ভোট পরবর্তী হিংসা
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রাজ্যপাল কে আক্রমণ করলেন এবার তৃণমূলের তারকা সদস্য সায়নী ঘোষ। তিনি অবশ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট পেয়ে, মাঠে নেমেও ঘাস ফুল ফোটাতে পারেননি। তবে তিনি এবার রাজ্যপালের সফরকে ঘিরে কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপির হাতের পুতুলরা, সব গান্ধী হওয়ার চেষ্টা করছেন।”

তৃতীয়বার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের দিন রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন তিনি রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকা গুলি পরিদর্শনে যাবেন। তার এই রাজ্য সফরকে ঘিরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল কে চিঠি লিখে পাঠিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ শীতলকুচি কাণ্ডে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জাওয়ানকে তলব সিআইডি এর

মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সেই চিঠিতে বলা হয়, রাজ্যপালের জেলা সফরে যে প্রথা রয়েছে, সেই প্রথা ভঙ্গ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল যদি রাজ্যের কোনও জেলায় সফর করতে চান, তাহলে সেটা সরকারকে জানাতে হয়। এমনকি তিনি যে জেলায় যাচ্ছেন সেখানকার প্রশাসনকেও জানানো জরুরি। তবে রাজ্যপাল কোন কিছুই সরকারকে জানাননি বলে দাবি রাজ্য সরকারের।

রাজ্যপাল ভোট-পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন কুচবিহারের শীতলকুচি সহ বিভিন্ন হিংসা কবলিত এলাকায়। এরপর তিনি আসামের শরণার্থী শিবিরে ও গিয়েছিলেন ঘরছাড়া মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে। আজ তিনি ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন।

saayoni ghosh, jagdeep dhankhar, নন্দিগ্রাম, শীতলকুচি, ভোট পরবর্তী হিংসা
চিত্র- সংগৃহীত

তবে রাজ্যপাল শীতলকুচি সফর সেরে এএনআই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “রাজ্যের মানুষ থানায় যেতে ভয় পাচ্ছেন। পুলিশ আবার শাসক দলকে ভয় পাচ্ছে। আমি ঘরছাড়াদের ফিরে আসতে আহ্বান জানিয়েছি। প্রয়োজনে নিজের বুকে বুলেট নিয়ে নেব। আমি সদর্থক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলব। তাঁর কাছেই ক্ষমতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বিরুপ মনোভাব ত্যাগ করা উচিত।”

আরও পড়ুনঃ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউকটে আছড়ে পড়ার পূর্বে, লাল সর্তকতা জারি করা হল এই পাঁচটি জেলায়

রাজ্যপালের এমন বক্তব্যকে ঘিরে তৃণমূলের তারকা সদস্য সায়নী ঘোষ লিখেছেন, “একজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন, এবার বাংলায় বিজেপির হাতের পুতুলরা সবাই গান্ধী হওয়ার চেষ্টা করছে। আপনার হৃদয় কি তখন ভারাক্রান্ত হয়েছিল যখন বিজেপির উদ্ধত নেতারা বলেছিলেন ভোটের সময় সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে আরও নির্দোষ প্রাণের বলি হওয়া উচিত ছিল?”