
পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- চলতি বছরেই মাঝের দিকে শুরু হবে পঞ্চায়েত ভোট। সেই হিসেবে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রত্যেকটি দল। এছাড়া ২০২৪ সালে নির্বাচন আছে বাংলাদেশে। সেই কারণে বাংলাদেশী দুই দল হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিরোধীতা করে নানা রকম প্রচার পর্ব শুরু করে দিয়েছে। তবে শুধু হিন্দু নয়, হিন্দুদের পাশাপাশি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধেও প্রচার চালানো শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং জঙ্গি সংগঠন জামাত-ই-ইসলামী দল।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশী দুই দল। এমনকি জঙ্গি সংগঠন জামাত-ই-ইসলামী দলের সমর্থক নুরু নির্বাচনের অংশগ্রহণ না করে পিছন থেকে রাজনৈতিক কারাজির উপর জোর দিচ্ছেন। বাংলাদেশেই দুই দলের লক্ষ্য হল হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করা। ফলেই সৌদি আরব থেকে নুরু একটি ভিডিও শেয়ার করেছিল। সেই ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছিল হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে জামাত দল।
নুরুর ফেসবুকে শেয়ার করা ভিডিওটিতে নুরুকে বলতে শোনা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে যেহেতু বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে তাই জামাত নেতারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের জন্মকে থামানোর জন্য হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নুরু ক্ষমতা অর্জনের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে পিছনে থেকে রাজনৈতিক কলকাঠি নাড়ছে। এমনকি এও জানা গিয়েছে যে, তিনি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য নানান বৈঠকও করেছেন।
তবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা করছে বাংলাদেশী জঙ্গি সংগঠন জামাত-ই-ইসলামী ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দল। এর পাশাপাশি সরকারকে তার জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য জঙ্গি সংগঠন জামাত-ই-ইসলামী সমর্থক নুরুল হক নুর বিরোধী দলের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করছে। তবে সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কু মন্তব্য করেন বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নুরুল হক নুরের শীর্ষ সহযোগী তারেক রহমান। তিনি ফেসবুক লাইভে বলেছেন, “হিন্দু ধর্মের ধর্মগ্রন্থ কোনো নৈতিক শিক্ষা দেয় না। সব ধর্মীয় ধর্মগ্রন্থই আসলে একটি পর্ন স্ক্রিপ্ট।” আর সেই নিয়েই সরগরম হয়ে উঠেছে চারিদিক।