পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ পূর্ব মেদিনীপুরে ঘটে গেল আরও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সমুদ্রে ট্রলার ডুবে মৃত্যু হল দুই মৎস্যজীবীর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির কাছে। ১৫ ই জুন থেকে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়, এই খবর পাওয়ার পর ট্রলারে করে নন্দীগ্রাম থেকে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে ১২ মৎস্যজীবী রওনা দিয়েছিলেন। নন্দীগ্রাম থেকে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে যাওয়ার সময় খেজুরির মসনদ-ই আলার কাছে এসেই ঘটে যায় বিপত্তি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শেখ তাজেমানের আলামিন-৪ নামের একটি ট্রলার নন্দীগ্রাম থেকে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। খেজুরির মসনদ-ই আলার কাছে চড়ায় ধাক্কা মারে ট্রলারটি, আর তাতেই ট্রলারটি উল্টে যায় এবং ১২ জন মৎসজীবিই সমুদ্রে পড়ে যায়।
সমুদ্রে পড়ার সাথে সাথেই সাঁতরে নিজেদের প্রানে বাঁচার চেষ্টা করেন মৎস্যজীবীরা। ঘটনাটির পর এলাকাবাসীরা তড়িঘড়ি করে খবর দেয় স্থানীয় থানায়। তারপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল আকারের পুলিশ বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। পুলিশ তাদের কাজ শুরু করে এবং জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেই উদ্ধার কার্য শুরু করে দেয়।
ইতিমধ্যে উদ্ধারকারী দল ৫ জনকে উদ্ধার করেছে। তবে ওই পাঁচজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং বাকি তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি সাতজন মৎস্যজীবীর এখনো পর্যন্ত কোনো হদিস মেলেনি । এই মৎস্যজীবীরা সাগরের বাসিন্দা, উপার্জনের আশায় বাড়িতে থেকে বেরিয়েছিল তারা। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না তাদের। ঘটনাটি শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তার অন্ধকার গ্রাস করেছে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের। এই ঘটনায় জানা গিয়েছে, মৎস্যজীবীরা সম্পর্কে ছিলেন ভাই ভাই।
নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজে দফায় দফায় তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারী দল। এই ঘটনাটি শোনার পর মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক সুরজিৎ বাগ ও কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম ইরানি এবং প্রশাসনিক কর্তারাও উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে।