পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ভোট আবহের মধ্যে দিয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলে দাবী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার। রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচনী ভোটগ্রহণ। দফায় দফায় ভোট গ্রহণ হওয়ার কারণে করোনা সংক্রমনের হার বেড়ে চলেছে বলে দাবি তৃণমূল নেত্রীর।
তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। তবে এবার অতিমারি করোনা রাজ্যজুড়ে যে হারে বেড়ে চলেছে তাতে করে শেষ দুই দফার ভোট একসঙ্গেই করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যজুড়ে করোনার প্রভাব কে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক শেষ দুই দফার ভোট একসঙ্গে করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও অজয় নায়েক জানিয়েছেন, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনী ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের অন্তত ২৫ জন অধিকারী কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনার প্রভাবে ইতিমধ্যেই সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থী মারা গিয়েছেন। দুই প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে ওই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী ভোট গ্রহণ পর্ব পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
অতিমারি করোনার মধ্য দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনী ভোট গ্রহণ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এই অবস্থাতে শেষ দুই দফার ভোট একদিনে করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। এছাড়াও অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে ও কমিশনের কাছে প্রশ্ন করেছেন এই দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক।
রাজ্যে করোনার প্রভাব পড়ায় পঞ্চম দফার ভোটের আগেই সর্বদলীয় বৈঠক করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। ওই বৈঠকে তিনটি দফার ভোট একই দিনে করার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সেই দাবি মেনে নেয়নি নির্বাচন কমিশন। একই দিনের পরিবর্তে নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দিয়েছিল কমিশন। তাতেও কোনো লাভ হয়নি, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত।
সূত্রের খবর, শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে কেন করানো হলো না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার মত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা খুবই কঠিন হয়ে উঠেছিল। তবে এবার শেষ দুই দফার ভোট একসঙ্গে হবে কিনা এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি। নির্বাচন কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও অজয় নায়েক শেষ দুই দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে দাবি করেছেন, করোনা আবহে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায়, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর বাকি ভোটগ্রহণ করা হোক বলে দাবি জানিয়েছেন।