বিজেপি, এনআরসি, অমিত শাহ, দার্জিলিং, BJP, NRC
ছবিঃ ফেসবুক

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ পঞ্চ দফার ভোটের আগেই নির্বাচনী প্রচারে দার্জিলিংয়-এ জনসভা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানের সভা থেকে তিনি পাহাড়ি বাসিন্দাদের আশ্বাস দিলেন। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে পাহাড়ের অবস্থা বদলাবে।

এদিনের সভামঞ্চ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “পাহাড়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধান, কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে করবে। পাহাড়বাসীদের আর আন্দোলন করার দরকার হবে না। এগারোটি গোর্খা গোষ্ঠীকে তপশীল উপজাতিদের মর্যাদা দেওয়া হবে” বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আজ দার্জিলিংয়ের সভাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন এখন দেশে এনআরসি (NRC) করার কোন পরিকল্পনা নেই। নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে গোর্খাদের মধ্যে একটি ডর সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়বাসীর মন থেকে ভয় দূর করা তে তিনি বলেন, “এখন দেশে এনআরসির কোনো পরিকল্পনা নেই। আর যদি ভবিষ্যতে এনআরসি হয়, তাতে গোর্খাদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।”

এদিনের সভামঞ্চ থেকে তিনি এনআরসি নিয়ে বলেন, ‘এনআরসি নিয়ে কাউকে ভয় পেতে হবে না। গোর্খারা এদেশেরই লোক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি নিয়ে আপনাদেরকে ভয় দেখাচ্ছে। বাংলাতে বিজেপি সরকার গড়লে পাহাড়ে উন্নয়ন হবে। দার্জিলিং-এ উন্নয়ন হয়নি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন ঘটবে। গোর্খাদের এসএসসি (SSC) স্ট্যাটাস দেওয়া হবে। এছাড়াও তাদের পাট্টা দেওয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বিজেপি, এনআরসি, অমিত শাহ, দার্জিলিং, BJP, NRC
ছবিঃ ফেসবুক

তিনি এনআরসি নিয়ে ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন পাহাড়বাসীদের কে, ভবিষ্যতে যদি কখনো এনআরসির কথা
কেন্দ্র সরকার ভাবে তাতেও আপনাদের কোন ভয়ের কারণ নেই। পরবর্তীতে যদি এনআরসি হয় তা হলেও গোর্খাদের চুল পরিমাণ স্পর্শ পর্যন্ত কেউ করতে পারবে না। তিনি জানান গোর্খা এদেশেরই মানুষ, তারা উদ্বাস্তু নয়।

চা বাগানের শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “পাহাড়ের চা বাগানের শ্রমিকদের উন্নতির জন্য এক হাজার কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে। পাহাড়ে পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ৬০০ কোটি অর্থ ব্যয় করা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।”

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “গোর্খা ভাষাকে প্রথম ১০০ টি ভাষার মধ্যে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে গোর্খা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবে বিজেপি সরকার। বিজেপির জন্য পাহাড়ে তিনটি আসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন পাহাড়ে গোর্খাদের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে তা এবার বন্ধ করবে বিজেপি সরকার।”