করোনা ভাইরাস, ভ্যাক্সিন, মাস্ক, সোশ্যাল ডিসটেন্স
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সারা দেশ বর্তমানে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এর ধাক্কায় জেরবার। এমত অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় মাস্ক, অক্সিজেনের পর্যাপ্ত জোগান, সোশ্যাল ডিষ্টেনসিং, ভ্যাক্সিন, প্লাজমা সমস্ত কিছুই বিশেষ প্রয়োজনীয়। তবে সমস্ত কিছুর মধ্যে যেটা সবচেয়ে বেশী প্রয়োজনীয় সেটা হল মাস্ক।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ একেবারে মারাত্মক আকার নিয়ে দেখা দিয়েছে সারা বিশ্বে। কার্যত করোনা মোকাবিলায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে সারা দেশ। এমত অবস্থায় রোজ লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। এই করোনার সাথে মোকাবিলায় এই মুহূর্তে যেটা সবচেয়ে প্রয়োজন সেটা হল সমস্ত নিয়ম মেনে চলা।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এতো তারাতাড়ি কেন ছড়িয়ে পড়ছে তাই নিয়ে বিস্তর গবেষণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে প্রথমেই তারা যে জিনিসটার ওপর জোর দিয়েছেন সেটা হল মাস্ক এর ব্যবহার। মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করলে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ অনেক অংশেই ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় আরও জানা গেছে যে, মাস্ক এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স যদি সঠিক ভাবে পালন করা না যায় তবে মাত্র ৩০ দিনে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি ৪০৬ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। এছাড়াও গবেষণায় আরও জানা যাচ্ছে যে, যদি সোশ্যাল ডিসটেনস মেনটেন করা যায় তবে সেই সংক্রমণ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মত হল যতটা সম্ভব মাস্ক এর ব্যবহার বাড়ানো। আর করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যেটা এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন সেটা হল ভ্যাক্সিনের ব্যবহার। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, কখনওই আতঙ্কিত হতে বিনা কারণে হাসপাতালে না যেতে। প্রয়োজনে ঘরেও মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।