corona virus, corona news, corona vaccine, corona,
ছবিঃ সংগৃহীত

ওয়েব ডেস্কঃ করোনা টিকা করনের দ্বিতীয় দফা শেষ হল রবিবার। তবে দিনে তিন লক্ষ টিকাকরনের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল সেই তুলনায় টিকাকরণের গতি অনেকটাই কম। প্রথম দিনেই তিন লক্ষ টিকাকরণের জায়গায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার টিকাকরণ হয়েছে।

রবিবার, দ্বিতীয় দিনেও টিকাকরণের সংখ্যা কম। দ্বিতীয় দিনে দেশে ১ লক্ষ ৫ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছে । দুই দিনে কো-ভ্যাকসিন পৌঁছেছে ২ লক্ষ ২৪ হাজার মানুষের শরীরে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে, ভারত বায়োটেক এর ভ্যাকসিন টিকা নিয়ে সংশয় এর কারণে গতি কমছে বলেই তাদের ধারণা।

যেসব হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ দেওয়া হচ্ছে সেখানকার রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবায় যাতে কোন প্রকার ত্রুটি না থাকে। সেই কথা ভেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাগুলিতে সপ্তাহে কোন কোন দিন টিকাকরণ হবে তা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্র এটাও জানিয়েছে, যে সকল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে টিকা করনের জন্য তোড়জোড় না করে ধীরেসুস্থে আস্তে আস্তে টিকাকরণ করা হোক। যাতে রোগীদের ওপর চিকিৎসকদের নজর একেবারেই না সরে যায় সেই কথা ভেবেই তিনি বলেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব ডক্টর মনোহর আগনানি বলেছেন, “টিকা করনের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাগুলিতে সপ্তাহে চারদিন করে টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি সমস্ত রোগের উপরেই লক্ষ্য রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত”।

কোন রাজ্যে কত দিনঃ

  • দুইদিন করে টিকাকরণের কর্মসূচি রাখা হয়েছে গোয়া ও উত্তরপ্রদেশে।
  • নাগাল্যান্ড ও উড়িষ্যাতে সপ্তাহে তিন দিন করে টিকাকরণ হবে। সোমবার মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই তিনদিন আন্দামান ও নিকোবরে টিকাকরণ হবে।
  • সপ্তাহে ছয়দিন টিকাকরণ হবে অন্ধ্রপ্রদেশে।অরুণাচল প্রদেশের সপ্তাহে চারদিন টিকাকরণ হবে সোমবার বৃহস্পতিবার শুক্রবার ও শনিবার। কেরালা, লাদাখ‌, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র,‌ মনিপুর, পাঞ্জাব, রাজাস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, মিজোরাম, এবং পশ্চিমবঙ্গে সপ্তাহে চারদিন টিকাকরণ হবে। সোমবার মঙ্গলবার শুক্রবার ও শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এই চারদিন টিকাকরণ হবে।

রবিবারের দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ শেষ এবং দেশে প্রায় ২ লক্ষ ২৪ হাজার মানুষের শরীরে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত টিকার কোনো জটিলতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার দেখা মেলেনি বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকরা। দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ শেষে মোট ৪৪৭ জনের শরীরে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট সরকারি খাতায় নথিভুক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকরা জানিয়েছে এই সামান্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ভয়ের কোন কারণ নেই।

হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেখানে যেখানে টিকাকরণ হচ্ছে। সেখানে টিকাকরণের পর কোন ব্যক্তির শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে কি করনীয় তার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করেছে কেন্দ্র সরকার। টিকাকরণের পর কোনও প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে কি করনীয় সেসব বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিকাকরণের পর হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে, যদি কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয় তাহলে টিকার কোনো কাজ হয়নি, এই সামরিক প্রতিক্রিয়ায় হল টিকা শরীরে ঠিকভাবে কাজ করছে।

টিকা দেওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রে জ্বর এবং কাঁপুনি লক্ষ্য করা গিয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠেছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চরম আকার নেওয়ার আগে সতর্ক হতে হবে। টিকার ডোজ মানব শরীরে প্রবেশ করার পর কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সেইসব খতিয়ে দেখবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।