পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভোট শেষ হবার পর থেকেই হিংসায় রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা। এমতাবস্থায় চাড়িলাম, বিশালগড় ও পশ্চিম ত্রিপুরা-সহ একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে একের পর এক বাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর হয়েছে। আর এই পরিস্থিতি সামলাতে এই এলাকাগুলিতে আরো একদিন ১৪৪ ধারা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। রাজ্যে ৬০টি বিধানসভার মধ্য়ে ৩২টি-তে জিতে সিংহাসনে ফিরছে পদ্মশিবির। কিন্তু ভোটপর্ব মিটলেও হিংসা থামছে না ত্রিপুরায়। বরং পশ্চিম ত্রিপুরায় ভোট পরবর্তী হিংসা এমন জায়গায় গিয়েছে যে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সব পক্ষকে সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের ক্রমশ বাড়তে থাকা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে বিজেপি।
রাজ্যের একের পর এক জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। ত্রিপুরা বিজেপি অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে। বরং পদ্মশিবিরের অভিযোগ, ভোটে হেরে সিপিএম নেতা-কর্মীরাই তাদের ওপর হামলা করছে, আর তা প্রতিহত করছে বিজেপি। ত্রিপুরাকে বদনাম করার অপচেষ্টাতেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা বিরোধীরা বলছে বলে দাবি পদ্মশিবিরের।
শুক্রবার ত্রিপুরা বামফ্রন্টের তরফে এই নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। ত্রিপুরা বামফ্রন্ট আহ্বায়ক নারায়ণ কর দাবি করেছেন, রাজ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন BJP-র বিরুদ্ধে । এটা শাসক দলের প্রতি সেই রাজ্যের মানুষের অনাস্থা প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি । পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে শাসক দলকে। এই সঙ্গে এই ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধ করার জন্য শাসক দল, ত্রিপুরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন করা হয়েছে।
সিপিএমের অভিযোগ, বিশালগড়ের আনন্দনগর, মেলাঘরে বাম যুব নেত্রী মানি দেবের বাড়ি, খয়েরপুরের মেখলিপাড়া, শান্তিরবাজারের গার্ধং এলাকার গৌতম দত্তের বাড়ি সহ অনেক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে । চাড়িলাম এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদলের নেতারা । তাঁদের পালটা দাবি সিপাইজলা, চাড়িলাম, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। কংগ্রেস ও সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে পদ্ম-শিবির। বিজেপির আরও অভিযোগ, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই তাঁদের প্রায় ১৫০ কর্মী ঘরছাড়া। ৭০-র বেশি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।